মৌলভীবাজারে কাঁঠালের বাজারে ধ্বস-চাষীদের মাথায় হাত
এম. মছব্বির আলী॥ চলতি মৌসুমে কাঠালের বাম্পার ফলন হলেও রমজানের কারণে হাট-বাজারগুলোতে ক্াঠালের চাহিদা কম থাকায় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চাষিরা। ফলে অধিকাংশ কাঁঠাল গাছে নষ্ট হচ্ছে। অতিস্বাদের জাতীয় ফল কাঠাল এখন গো-খাদ্যে পরিণত হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার পাহাড়ী জনপদে প্রচুর কাঠাল উৎপাদন হয়।
পাহাড় অধ্যুষিত কর্মধা, পৃথিমপাশা, কুলাউড়া সদর, টিলাগাঁও, জয়চন্ডী, বরমচাল, ভাটেরা এলাকার চাষিরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাঠালের আবাদ করে আসছে। এছাড়া জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ফুলতলা, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে প্রতি বছর গাছে কাঁঠালের ফুল (মুচি) আসার পরই পাইকাররা এসে দামদর সাব্যস্থ করে বায়নার টাকা দিয়ে যান। এবার কাঁঠালের দাম কম থাকায় অনেক পাইকাররা বাগান ফেলে চলে গেছেন। বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেও উঠছে না যাতায়াত খরচ। ফলে ফলে অধিকাংশ কাঁঠাল গাছেই নষ্ট হচ্ছে। পাকা কাঁঠাল গাছের নিচে পড়ে থাকে। গরু ছাগল কাঁঠাল খাচ্ছে তাদের ইচ্ছেমত। কাঠালের অন্যতম পাইকারী হাঠ কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ও রবিরবাজার এবং জুড়ী উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাট বাজরগুলোতে পাইকার শূন্য, অল্প সংখ্যক পাইকার থাকলেও নেই তাদের মধ্যে কোন ব্যস্ততা। বছর যে কাঁঠাল ২শ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবছর সে কাঠাল ২০ টাকায়ও কেউ কিনছে না।
কাঁঠাল ব্যবসায়ী মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী থেকে পাইকারী কাঁঠাল ব্যবসায়ী ইয়াছিন মিয়া, সোহাগ মিয়া, জুয়েল আহমদ জানান, বছর কাঁঠালে লাভ হওয়ায় এবারে কাঁঠাল চাষীদের কাছ থেকে বেশ কয়েককটি কাঁঠাল বাগান আগেই কিনে রেখেছি। গাছে কাঁঠালও ধরেছে বেশ। কিন্তু বাজারে কাঁঠালের চাহিদা ও দাম দুটোর কোনটিই নেই। এহাঠে আসা কাঁঠাল চাষী চান্দু মিয়া, ফরিদ মিয়া, এ মৌসুমে রমজান মাস থাকায় বাজারে ক্রেতা একবারে নেই বললেই চলে। এ মৌসুমে লাভ হওয়াতো দূরের কথা কাঁঠাল বিক্রি করে বাজারে আনতে যে পরিবহণ খরচ আসে তাও লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই আমাদের চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন