মৌলভীবাজারে ঝড়ের কবলে আহত হওয়া পাখি নিয়ে দিনভর পাখি প্রেমী রাজার ছোটাছুটি
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের হাইল হাওর পাড়ে রাজা ফিসারীজের পাখির অভয়াশ্রমে ঝরের কবলে পড়ে বেশ কিছু পাখি মারা পড়েছে। আহতও হয়েছে বেশ কিছু পাখি।
শুক্রবার বিকেলে পাখির অভয়াশ্রমের পরিচালক মাষ্টার গোলাম মোস্তাফা রাজা বেশ কিছু আহত পাখি নিয়ে যান শ্রীমঙ্গল পশু হাসপাতালে। পরে পাখি গুলোর সেবা যতেœর জন্য পাখি গুলোকে দিয়ে আসেন শ্রীমঙ্গল বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে। এ ব্যাপারে মাষ্টার গোলাম মোস্তফা রাজা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে হাজার হাজার পাখি গাছ থেকে নিচে পড়ে যায়।
২৬ আগষ্ট শুক্রবার সকাল থেকে নিজে ও তার লোক দিয়ে পাখি গুলোকে উপরে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বেশ কিছু পাখিকে তিনি মৃত পান। কিছু পাখি উড়তে না পাড়ায় এবং পা ভেঙ্গে যাওয়ায় সে গুলোকে নিয়ে আসেন পশু হাসপাতালে। পশু হাসপাতাল থেকে পখি গুলোকে হন্তান্তর করেন শ্রীমঙ্গলস্থ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে। তিনি জানান, পাখি গুলোর এ অবস্থা দেখে রাত থেকেই তার মন খারাপ। সারা দিন শুধু পাখি নিয়েই ছিলেন। এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, পাখি গুলো বাচ্চা। ঝড়ের ঝাঁপটায় বেশ আহত হয়েছে। সকাল থেকেই কিছু খায়নি। শুক্রবার সন্ধা ৭টায় পাখি গুলোকে সেবা ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসার পর পরই তার ছেলে সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সঞ্জিত দেব পাখি গুলোকে ছোট মাছ ও পানি খেতেদেয়, এর পর থেকে কিছু আহত পাখিকে অনেকটা সতেজ দেখায়।
উল্লেখ্য মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের পাড়ে মাষ্টার গোলাম মোস্তফা রাজার ফিসারীর পাড়ে ১০ বছর ধরে আশ্রয়নেয় লক্ষ লক্ষ পাখি। পাখি গুলো এখানেই বাসা করে বাচ্চা ফোটায়। এর মধ্যে কিছু পাখি সারা দিনই ফিসারীতে অবস্থান করে আর অধিকাংশ পাখি ভোরে চলে যায় হাওরে মাছ খেতে আবার সন্ধায় ফিরে আসে। মাষ্টার গোলাম মোন্তফা ১০ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো এই পাখিদের পালন করে আসছেন। পাখিকে যাতে কেউ বিরক্ত না করে সে জন্য নিয়োগ করে রেখেছেন বেশ কয়েকজন পাহারাদার।
মন্তব্য করুন