মৌলভীবাজারে দূর্ভোগে দিনমজুর ও নিন্ম আয়ের শ্রমজীবীরা
স্টাফ রিপোর্টার॥ চলমান কারফিউতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন মৌলভীবাজারের নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। গেল ক’দিন থেকে আয় রোজগার না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে পরিবহন ও হোটেল শ্রমিক, মৎস্যজীবীসহ নানা শ্রেণী প্রেশার দৈনিক মজুরীর শ্রমজীবী লোকজন। এবছর ভয়াবহ দীর্ঘ বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার মানুষ আয় রোজগার ও ক্ষেত কৃষি হারিয়ে সংকটে থাকলেও এখন নতুন করে দেশের চলমান পরিস্থিতি তাদেরকে আরও মহা দূর্ভোগে ফেলেছে।
জেলা ও উপজেলা শহর এলাকায় দোকানপাট ও হোটেল রেস্তোরা বন্ধ থাকায় ক্রেতা,বিক্রেতার পাশাপাশি মালিক ও শ্রমিকদের আয় রোজগার না থাকায় তারাও পড়েছেন চরম দৈন্য দশায়। বড় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরাও দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এখন প্রতিদিন কারফিউ ২ ঘন্টার জন্য শিথিল করা হলেও তাদের দোকান খোলে পসরা সাজাতে আর বন্ধ করায় অর্ধেক সময়ই চলে যাচ্ছে। এমনটি বলছেন ভোগতভোগী ব্যবসায়ীরা। জেলা ও উপজেলার বাজারগুলোতে মাছ,মাংস,সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী সব পণ্য পাচ্ছেন না ক্রেতারা। তাছাড়া দামও চওড়া। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন পন্য পরিবহনসহ কারফিউ চলায় পর্যাপ্ত পন্য না পাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী সব ধরনের পন্য সরবরাহ করা যাচ্ছেনা তাছাড়া যে গুলো মিলছে তার দামও একটু বেশি। এদিকে ইন্টারনেট সেবা চালু না থাকায় ও সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা চালু না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এজেলার প্রবাসী পরিবার,ব্যবসায়ী ও সর্বস্থরের মানুষ। টাকা উত্তোলন করতে না পারায় যেমন আর্থিক দূর্ভোগে পোহাচ্ছেন তারা।
তেমনি তাদের প্রবাসী স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায়ও রয়েছেন চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠায়। আর ইন্টারনেট সেবা চলমান না থাকায় প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত এজেলায় এখন প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া নিয়েও গ্রাহকদের অন্তহীন বিড়ম্বনা। কারফিউর ৩য় দিনে জেলায় আগের ২ দিনের চেয়ে এখন জেলা শহরে বেড়েছে টমটম, রিকশা ও সিএনজি চালিত অটো রিকশা চলাচল। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বের না হলেও আগের চেয়ে শহরে বেড়েছে মানুষের চলাচল। জেলা জুড়ে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল চলছে।
মন্তব্য করুন