মৌলভীবাজারে বনভুমি ও পুষ্টির সহায়ক ফলজ বৃক্ষ চারা রোপন অভিযান শুরু
স্টাফ রিপোর্টার॥ ফলজ বৃক্ষই বনভুমি বৃদ্ধিতে ও পুষ্টির চাহিদা পুরণে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারবে, তাই শ্রীমঙ্গল নিউজ কর্ণার এর সহযোগীতায় ও বৃক্ষ সংরক্ষনে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্ত্তীর উদ্যোগে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রোপন করা হয় বেশ কিছু ফলজ বৃক্ষের চারা।
সকালে র্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের ক্যাম্পাসে রোপন করা হয় জলপাই, মিষ্টি আমরা ও আতাফলসহ বেশ কিছু ফলজ বৃক্ষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প এর অধিনায়ক মো. হায়াতুন নবী, সহকারী পরিচালক এ এস পি বিল্লাল, সাংবাদিক চৌধুরী ভাস্কর হোম, এম মুসলিম চৌধুরী, কবি তোফায়েল আহমদ, সুলতান মাহমুদ, মো. আলম ও কবি তানিশা চৌধুরী। পরে একই উদ্যোগে ফলজ বৃক্ষ রেপান করা হয় শ্রীমঙ্গল বধ্যভুমি একাত্তর চত্তরে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আক্তার ইকবাল, বাতায়নের সভাপতি বিশিষ্ট চিকিতসক ডা. হরিপদ রায়, সহকারী বন সংরক্ষক রাজেস চাকমা, পরিবেশবাদী সালাহ উদ্দিন আহমদ, তরুন সংবাদকর্মী শিমুল তরফদা, জহিরুল ইসলাম সুহেল ও অরবিন্দু দেব প্রমুখ।
এসময় বৃক্ষ সংরক্ষনে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্ত্তী জানান, বিশ্ব জলবায়ুর প্রভাব মুকাবেলায় বৃক্ষ রোপনের বিকল্প নেই। আর বনজ বৃক্ষ সবাই কেটে ফেলে। কিন্তু ফলজ বৃক্ষে টিম্বার ভেলু না থাকায় এ গাছ গুলোর স্থায়ীত্ব হবে বেশি দিন। তা ছাড়া এই ফল মানুষের পাশাপাশি পশু পাখিরও খাদ্যের চাহিদা পুরণ করবে। এই প্রয়াসে সবাইকে বৃক্ষ রোপনে উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে সামনে রেখে তিনি এ উদ্যোগ নেন। তিনি জানান, আরো বেশ কয়েকটি সরকারী ও শিক্ষা মুলক প্রতিষ্ঠানে ফলজ বৃক্ষ রোপনের পরিকল্পনা রয়েছে তার।
উল্লেখ্য গতবছরও সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্ত্তী শ্রীমঙ্গল তথা মৌলভীবাজার জেলার সুন্দর্য বর্ধনে দৃষ্টি নন্দন কৃষ্ণচূড়া, সোনালো ও জারুলসহ এ জাতীয় দৃষ্টি নন্দন বৃক্ষ চারা রোপন অভিযান শুরু করলে সে বছর তিনি ছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে রোপিত হয় প্রচুর পরিমানে দৃষ্টি নন্দন বৃক্ষ।
মন্তব্য করুন