(ভিডিও সহ) বিজিবি ও পরিবহন শ্রমিক সংঘর্ষ : ৮ জন গুলিবৃদ্ধ সহ আহত ৫০ : শতাধিক গাড়ী, ৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর
স্টাফ রিপোর্টার॥ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিজিবি ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন গুলিবৃদ্ধ সহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। এ সময় অন্তত ১০০টি গাড়ী ও প্রায় ৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ও শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক ২ঘন্টা বন্ধ ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোডে গাড়ী পার্কিং নিয়ে বিজিবি গাড়ী চালকের সাথে বাক বিতন্ডা হয়। এ সময় স্থানীয় এক পরিবহন শ্রমিক ওই বিজিবি সদস্যকে লাঞ্চিত করেন।
এ খবর বিজিবি সদরদপ্তরে পৌছালে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষদের মারধর করেন। পরে পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বিজিবি সদস্যদের পাল্টা হামলা করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। শেষে বিজিবি সদরদপ্তর থেকে বের হয়ে আসা বিজিবি সদস্যরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ও ব্যপক ভাংচুর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে ব্যবসায়ীরা শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্তরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
ঘটনার সময় বিজিবি সদস্যরা রাস্তাঘাট, এমনকি দোকানপাট বা বাড়িঘরে আশ্রয় নেয়া সাধারন মানুষের উপর লাঠিচার্জ করে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রনে আনে।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতারের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ পলাশ রায় জানান গুলিবৃদ্ধ ৮জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে ৪ জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গুলিবৃদ্ধরা হলেন শ্রীমঙ্গল শহরের শাপলা আবাসিক এলাকার জিতেন্দ্র পালের ছেলে পবিত্র পাল (৩০) ও মৃত সুনাতন দাশের ছেলে সুকুমার দাশ (৫০), শ্রীমঙ্গলের নতুনবাজার এলাকার জমসেদ এর ছেলে শাহ আলম (৩০) ও শ্রীমঙ্গলের সেলিম মিয়ার ছেলে মোঃ ইকবাল মিয়াসহ (২০), শাহ আলম (৩২), মিনাক্ষী পাল (৩৫), কামাল মিয়া (৩২), সুনানন্দ দাশ (৪৭)। আহত অন্যান্যদের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন