স্কুল চলাকালে মশার ঔষধ স্প্রে : ফ্লাওয়ার্স কে.জির ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ
স্টাফ রিপোর্টার॥ দি ফ্লাওয়ার কে.জি এন্ড হাইস্কুলের ১২ শিক্ষার্থী মশক নিধন স্প্রের গন্ধে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে। এর মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। শনিবার ৩ আগষ্ট দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাই স্কুলের এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবাবক সূত্রে জানা যায়, দূপুরে দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাই স্কুলে ক্লাস চলছিল। ওই সময় স্কুল ক্যাম্পাসে পৌরসভা পক্ষ থেকে মাশার ঔষধ স্প্রে করা হয়। এর পর কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে এম্ব্যুলেন্স করে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অসুস্থ্য শিক্ষার্থীরা হলেন- একই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী এমি, সানন্দা চৌধুরী, ইসমা, রিমা, মৌসুমি দত্ত, ৮ম শ্রেণীর ছাত্র রিয়া দত্ত, তনিমা জান্নাত, শাহরিয়ার সাদি, প্রজ্ঞা চৌধুরী, সুমাইয়া, সৈয়দা ফাহিমা ও ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সৈয়দা লাবিবা আহমদ।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রত্ম দ্বিপ বিশ্বাস বলেন, কারো আগে থেকে শ্বাসকষ্ট থাকলে এই রকম সমস্যা বেশী হতে পারে। বর্তমানে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। এ পর্যন্ত ১২ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
অভিভাবক মঞ্জুর দত্ত, সৈয়দ রাশেদ আহমদ ও এম এ মান্নান বলেন ক্লাস চলাকালে ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধনের ঔষধ স্প্রে করায় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হন। পৌর কর্তৃপক্ষ চাইলে ক্লাস শেষে শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে ঔষধ স্প্রে করতে পারত। এমন দূর্ঘনায় এখন হিতে বিপরিত হয়েছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অসুস্থদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন বলে তারা জানান।
দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম বলেন স্প্রে করার কিছুক্ষণ পরেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা এম্বেুলেন্স ডেকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। কত জন আহত হয়েছেন এমন প্রশ্নে শিক্ষকরা বলেন তার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেননি। এই ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবকরা হাসপাতালে ভীড় জমান।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের দেখতে যাই। তবে যততুটু অসুস্থ তার চেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্থ হয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আগামীতে স্কুল ছুটির পর স্কুলের ক্যাম্পাসে মশক নিধনের স্প্রে দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন