মৌলভীবাজারে ১০ টাকা কেজি চালের ডিলার নিয়োগে দলীয় করণ
হোসাইন আহমদ॥ মৌলভীবাজারে হতদরিদ্রদের জন্যে সরকার নির্ধারিত ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ডিলার নিয়োগে সরকারদলীয় লোকদের নিয়োগ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৫ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরা সবাই সরকারি দলের নেতাকর্মী ও সমর্থক বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির প্রকল্পে ডিলার নিয়োগে ১৭টি আবেদন জমা পড়ে। ডিলার নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের কিছু শর্ত ছিল। উপজেলা হতদরিদ্র তালিকা যাচাই কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষমতাশীন দলের ১৫ নেতাকর্মী ও সমর্থককে ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেন। দলের নেতাদের নিয়োগ দেওয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা বাদ পড়েছেন। এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মহলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, একাটুনা ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমানকে, গিয়াসনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থক স্বপ্ন পালকে, আমতৈল ইউনিয়নে সদর উপজেলা বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সহ-সভাপতি মিধুল কুমার চক্রবর্তীকে, নাজিরাবাদে কলেজ ছাত্র দিপংকর রায়কে, মোস্তফাপুর ইউনিয়নে সিএনজি চালক ও আওয়ামীলীগ সমর্থক জুবেদ মিয়াকে ও আপারকাগাবলা ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামানকে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনকারী এমদাদ হোসেন জানান, মনুরমুখ ইউনিয়নের ডিলার মানিক লাল বাহাদুর মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসিনকে ধর্মীয় মামী ডাকেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি ডিলার এনেছেন। এছাড়াও উনার বিরুদ্ধে সুবিধাভুগীদের ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা হতদরিদ্র তালিকা যাচাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মনঞ্জু কান্তি দাস চৌধুরী বলেন, আমি ২৪ অক্টোবর এখানে দায়িত্ব পেয়েছি। আমার আগের কর্মকর্তা খাদ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা মেনেই সব ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এখানে কোনো দলীয়করণ ও অনিয়ম করা হয়নি।
এ প্রকল্পে উপজেলায় মোট ৭ হাজার ৬২শ’ ১৩ পরিবারের কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
মন্তব্য করুন