মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি ফের অবনতি

July 15, 2017,

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হয়েছে। গত কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে কয়েক ঘন্টার ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ১৪ জুলাই শুক্রবার থেকে জেলার বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হয়েছে। এতে করে ভেসে উঠা বাড়িঘর রাস্তাঘাট আবারও ডুবতে শুরু করেছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে এ সব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
কয়েক দিন উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জেলায় তৃতীয় দফা বন্যার কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও ফের বৃষ্টি পাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে।


দীর্ঘ মেয়াদী বন্যায় রুপ নেয়ায় আক্রান্ত এলাকায় প্রতিদিন ভাড়ছে দূর্ভোগ। বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের ৩ লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যা এখন স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রুপ নিয়েছে।
সরকারি ও বে-সরকারি ভাবে প্রতিদিন আশ্রয় কেন্দ্র সহ বন্যা দূর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হলে অনেকেই অভিযোগ তোলেছেন ত্রাণ না পাওয়ার। আবার অনেকেই ত্রান সামগ্রী পেলেও আশ্রয় কেন্দ্রে বন্দী অবস্থায় থাকার কথা জানান।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ৫ উপজেলায় ৩৫টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ৩৫০টি গ্রামের ৫৫২৬৭টি পরিবার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা ৩ লক্ষ ১০ হাজার আশি জন। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্থরের ২৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ২৮টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ৫৩৪টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা আক্রান্ত এলাকায় শুকনো খাবার সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী ঘরে ঘরে জেলা প্রশাসন পৌছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান।
দীর্ঘ মেয়াদী বন্যায় এখনও রাস্তা ঘাট, বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব সহ বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগব্যাধিও বাড়ছে। এলাকার মানুষের এটাই দাবী দীর্ঘস্থায়ী বন্যার হাত থেকে রক্ষায় সরকার স্থায়ী উদ্যোগ নেবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com