(ভিডিও সহ) মৌলভীবাজার জেলায় পর্যটনের জন্য আলাদা মোটেল-রিসোর্ট তৈরী হবে —–পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন
মাহবুবুর রহমান রাহেল॥ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে এবং পর্যটনের প্রসার ঘটাতে হলে জেলায় জেলায় পর্যটন অফিস স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। বতমানে বাজেটের অভাবে জেলায় জেলায় পর্যটন অফিস স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছেনা। কানেক্টিভিটি ভালো করতে হবে। এখন যদি বিছানাকান্দি যেতে দীর্ঘ সময় লাগে তাহলে হবে না। সিলেটের ট্যুরিস্ট প্রোডাক্ট আছে কিন্তু কানেক্টিভিটি ভালো হওয়া দরকার।
এক বছরের মধ্যে শমসেরনগর রানওয়ে চালু হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। যে এলাকায় ট্যুরিস্ট স্পট আছে সে এলাকার মানুষদের পর্যটন মনস্ক হতে হবে। একজন ট্যুরিস্ট ১১টা কর্মসংস্থান তৈরি করে। তাহলে এক ট্যুরিজম দিয়ে আমরা অনেক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারি। রোববার শ্রীমঙ্গলের টি হ্যাভেন রিসোর্টে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা ও সমস্যার নানা দিক নিয়ে বাংলানিউজ আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
২৪ জুলাই রোববার সকালে চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলের টি হ্যাভেন রিসোর্টে আয়োজিত এ বিশেষ আলোচনায় সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। বক্তৃতায় সিলেটসহ দেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনা ও এর সমস্যাগুলোর নানা দিক নিয়ে কথা বলেন আলমগীর হোসেন। শ্রীমঙ্গলে পর্যটনের জন্য আলাদা মোটেল-রিসোর্ট তৈরী হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এজন্য জেলা প্রশাসনকে জায়গা দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে মালিকদের প্রতি শ্রীমঙ্গলের জন্য প্যাকেজ ট্যুর চালু আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শুধু শ্রীমঙ্গলের জন্য হোটেল-মোটেল মালিকরা প্যাকেজ ট্যুর চালু করতে পারেন। যেমন- শ্রীমঙ্গলে দুই দিন-তিন রাত ভ্রমণ করলে আবাসন ব্যবস্থার সঙ্গে যাওয়া-আসা টিকেট ও খাওয়া ফ্রি। এরকম বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজ চালু করা যেতে পারে। তিনি বলেন, বেশি লাভ করতে আমরা বনায়ন ধ্বংস করে ফেলছি, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে ফেলছি।
জাফলাং, লালাখাল ধ্বংসের দিকে। আমরাই এগুলোকে ধ্বংস করে ফেলছি। আমরা আরো সচেতন হতে হবে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিশ্বজিৎ কুমার পাল, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, টি হ্যাভেন রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতান ইদ্রিস লেদু ও পরিচালক আবু সিদ্দিক মুসা, শ্রীমঙ্গল ইন’র চেয়ারম্যান ছায়েদ আলী, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী, মৌলভীবাজর ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র এএসপি একেএম মোশাররফ হোসেন, শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, মৌলভীবাজার জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিকান্দর আলী,
ইউএসএইড-এর ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস অ্যান্ড লাইভলিহুডস (ক্রেল) প্রকল্পের কমিউনিকেশনস ম্যানেজার ওবায়দুল ফাতাহ তানভীর প্রমুখ। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্ট্রিতে যারা বিনিয়োগ করেছেন তারা এর রিটার্ন চান। পর্যটন শিল্পের মধ্য দিয়ে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ট্যুরিজমের সঙ্গে অর্থনীতির একটা বড় সম্পর্ক। কক্সবাজারে বাংলানিউজের আয়োজনে আমরা উপকৃত হয়েছি। উল্লেখ্য দেশের শীর্ষ নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে’ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের পর এবার ‘সিলেটে পর্যটন’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত আছেন অনুষ্ঠানে।
মন্তব্য করুন