মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে বইছে তাপদাহ, তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দুর্ভোগে কর্মজীবীরা
মোঃ আব্দুল কাইয়ুম॥ মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে বইছে তীব্র তাপদাহ। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী দিনের তাপমাত্রা দুপুর ১২ টার দিকে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও বিকাল ৩ টার দিকে সর্বশেষ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সর্বোচ্চ ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে অনুভুত হচ্ছে আরও অনেক বেশি।
শনিবার (২৫ মে) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো: আনিসুর রহমান সর্বশেষ তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে দিনের সর্বশেষ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হবে। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তেও পারে। তিনি জানান, সাগরে নি¤œচাপ হচ্ছে ফলে আগামীকাল থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে কমতে পারে তাপমাত্রা।
এদিকে প্রচন্ড তাপদাহের প্রভাবে মৌলভীবাজার শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলি এক প্রকারের ফাঁকা দেখা গেছে। নেই প্রতিদিনের চিরাচরিত চিত্র। একবারেই কম সংখ্যক রিক্সা ও টমটমসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে সড়কে। দুপুরের দিকে শহর ও আশপাশের এলাকা সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রের দেখা মিলে। তাপদাহের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ আর সমস্যায় পড়েছেন প্যাডেল চালিত রিকসা চালক, নির্মাণ শ্রমিক, টমটম ও সিএনজি চালিত অটোরিকসা চালক সহ কর্মজীবী ও শ্রমজীবী খেটে-খাওয়া সাধারণ শ্রমিকেরা।
দুপরের দিকে শহরতলীর জগন্নাথপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে জেলার সবচেয়ে বড় সরকারি অবকাটামো নির্মাণ প্রকল্প জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকরা। প্রচন্ড রোদে পুড়ে সেখানকার শ্রমিকরা যখন ভারি কাজ করছিলেন, তখন তাদের অনেকের শরীর বেয়ে অঝোরে পানি ঝড়তে দেখা যায়। তবুও থেমে নেই এসব শ্রমিকদের কাজের গতি।
প্রকল্প বাস্তবায়নের দ্বায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মার্ক বিল্ডার্স লিমিটেড এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো: জালাল উদ্দিন বলেন, তীব্র তাপদাহের কারণে শ্রমিকদের কাজ করতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে,গরমে বার বার তাদের ঠান্ডা পানি ও লেবুর সরবত খাওয়াতে হচ্ছে। ২ ঘন্টা কাজ করা পর আধাঘন্টা অবসর নিচ্ছে,ফের আবার কাজে ফিরতে হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে অনেক সময় রাতেও তাদের কাজ করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। পাশের জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়েও দেখা গেছে শ্রমিকদের তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজ করতে।
রিকসা চালক কাইয়ুম আহমদ বলেন, ছেলে কোদালীপূল এলাকার মাদ্রাসায় পড়ে। সেখানে তাঁর জন্য খাবার নিয়ে যেতে হবে। সকাল থেকে বের হইনি গরমের কারণে। এখন ভাবছি বের না হলে খরচ যোগানে কষ্ট হবে, তাই রোদ উপেক্ষা করেও পেটের তাগিদে বের হয়েছি।
মন্তব্য করুন