মৌলভীবাজার শহরের চুবরা এলাকায় পূর্বের শত্রুতার জেরধরে স্কুল ছাত্র খুন
স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার শহরের চুবরা এলাকায় পূর্বের শত্রুতার জেরধরে আইডিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র জিসান খুন হয়েছে। এঘটনায় আরও ২ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে রোববার ২ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে। ঘটনার পর অভিযুক্ত আনোয়ারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চুবরা এলাকার শরিফুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে বেশ কিছুদিন থেকে পরকিয়া চলছিল একই এলাকার ঘাতক আনোয়ার হোসেনের সাথে। স্বামী শরিফুল একটি ব্যাংকে চাকুরির কারণে হবিগঞ্জের মাধবপুরে থাকতেন। সপ্তাহের বৃহস্পতিবার একবার আসতেন বাড়িতে। আবার শনিবার বিকেলে চলে যেতেন মাধবপুরে। শরিফুলে অনুপস্থিতিতে আনোয়ার প্রায়ই বাসায় যাওয়া-আসা করতো। এনিয়ে এলাকায় বেশ জল্পনা-কল্পনা হয়ে আসছিল। সম্প্রতি বাসায় একাদিক সময়ে ঢিল মারার ঘটনা ঘটে। এনিয়ে সালিশ বৈঠকে মিমাংশা কওে দেন পৌর কাউন্সিলর নাহিদ হোসেন। স্থানীদের অভিযোগ আনোয়ার শরিফুলের স্ত্রীর প্ররোচনায় ক্ষুব্ধহয়ে রোববার রাতে চুবরায় বাসার কাছে ধারালে অস্ত্রদিয়ে জিসান, শাওন ও মোবারককে এলোপাথারি আঘাত করে মারাত্মত ভাবে আহত করে। ঘটনার পর শরিফুলের স্ত্রী বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীরা উদ্ধার করে ৩ জনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জিসান ও মোবারকের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক জিসানকে মৃত ঘোষনা করেন। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি আনোয়ারের বাসা ঘেড়াওকরে তাকে আটকে রাখে ও ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌছালে এলাকাবাসি ঘাতক আনোয়াকে পুলিশের কাছে সোপোর্দ করেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি কে.এম নজরুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন (২৮), তার বাবার নাম রফিক মিয়া। তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আনোয়ার পৌরসভার চুবরা এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় থাকতো। তাদের স্থায়ী ঠিকানা রাজনগর বলে তিনি জানান।
অপরদিকে তাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র নিহত জিসান একই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে।
মন্তব্য করুন