মৌলভীবাজার-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী তাপস কুমার হাতুড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন
সালেহ আহমদ (স‘লিপক)॥ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী কমরেড তাপস কুমার ঘোষ চা বাগানসহ সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও পথসভা করছেন।
বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর সকালে তিনি দলীয় সিনিয়র নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর, অন্তেহরি বাজার সহ বিভিন্ন গ্রাম এবং মৌলভীবাজার শহরের সেন্ট্রাল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা এবং কুশল বিনিময় করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঁড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশজুঁড়ে চলমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হাতুড়ি প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।
এসময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান, পার্টির জেলা শাখার সদস্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কমরেড নজরুল ইসলাম, আবদুল আউয়াল, মোঃ ফয়েজ, শেখ মোঃ আবু সাঈদ, রিপন মালাকার, শুভ রঞ্জন চৌধুরী, ফজল মিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় কৃষক সমিতি সহ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন।
ওয়ার্কার্স পার্টি মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, নতুন এক অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, উন্নয়ন সমৃদ্ধি অগ্রযাত্রার স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদি আর্থসামাজিক টেকসই কর্মসূচি প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়নের রোডম্যাপ সহ বৈষম্যহীন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আন্দোলন-সংগ্রামের নতুন এক দায় নিয়ে মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
এ সময় তিনি সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা, দোয়া-আশীর্বাদ ও আসন্ন নির্বাচনে হাতুড়ি মার্কায় সর্বস্তরের জনগণের ভোট প্রার্থনা করেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী কমরেড তাপস কুমার ঘোষ বলেন, মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলাবাসীর চাহিদা পূরণে সব কাজই করা হবে। এই দুই উপজেলাবাসীই আমার কাজের মূল প্রেরণা। আমি তাদের এ প্রেরণাকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা-কর্মীরা সারাজীবন দেশ ও দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। আমি এ সংগ্রামের উত্তরসূরি হিসাবে বাকি জীবন একইভাবে এই দুই উপজেলাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের সমতা-ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ভোট গ্রহণের দিন যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে উৎসাহ-উদ্দীপনা, স্বতঃস্ফুর্ততা ও উত্তাপ তত বাড়ছে। দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
মন্তব্য করুন