যক্ষ্না-সচেতনতা ও নাটাব
মোহাম্মদ আবু তাহের॥ ভূমিকাঃ যক্ষ্নার যথাযথ চিকিৎসা ও নিশ্চিত আরোগ্যের ব্যাপারে কোন সন্দেহ না থাকলেও যক্ষ্না এখনও বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাছে মরণ ব্যাধি হিসেবে চহ্নিতি হয়ে আছে। এর কারণ অশিক্ষা, কুসংস্কার ও সচেতনতার অভাব। প্রকৃতপক্ষে যক্ষ্না কোন মরণ ব্যাধি নয়। নিয়মিত চিকিৎসায় যক্ষ্না ভাল হয়। তবে দারিদ্রতা যক্ষ্না সংক্্রমনের ঝুঁকি বাড়ায়। অপুষ্টি, জনাধিক্য, অপ্রতুল বায়ু প্রবাহ ও অস্বাস্থ্যকর পয়:নিষ্কাষন ব্যবস্থার ফলে যক্ষ্না সংক্রমনের আশংকা বাড়ে যা মুলত দারিদ্র ব্যবস্থার ফল।
যক্ষ্না কী?
যক্ষ্নাএকটি সংক্রামক রোগ, যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক অতি সূক্ষ্র জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। প্রধানত ফুসফুসই যক্ষ্না জীবাণু দ্বারা সর্বাধিক আক্রান্ত হয়। এ রকমের যক্ষ্নাকে ফুসফুসের যক্ষ্না বলে। যক্ষ্না জীবাণু দেহের অন্য অংশকেও আক্রান্ত করে যক্ষ্নারোগ তৈরি করতে পারে, তাকে ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষ্না বলে।
যক্ষ্না থেকে বাঁচতে হলে করণীয়ঃ
১. বাসস্থানের পরিবেশ যথাসম্ভব খোলামেলা, আলোবাতাস সম্পন্ন হতে হবে।
২. জনাকীর্ণ বাসস্থান যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।
৩. যক্ষ্না আক্রান্ত রোগীকে সব সময় নাক, মুখ ঢেকে চলাফেরা করতে হবে।
৪. যক্ষ্না রোগীর সঙ্গে আলাপচারিতার সময় একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৫. জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রোগীকে অন্য সবার থেকে একটু আলাদা রাখতে হবে।
৬. যেখানে সেখানে কফ ফেলা পরিহার করতে হবে।
যক্ষ্নার লক্ষণঃ
মূলত কাশি যক্ষ্না রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ বা উপসর্গ। অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্তও যেতে পারে। যক্ষ্না রোগীর ক্ষেত্রে রক্তের রঙ উজ্জ্বল লাল হয়ে থাকে। কাশি ছাড়া যক্ষ্না রোগীর অন্যান্য উপসর্গ- যেমন জ্বর থাকা, খাবারে অনীহা, দ্রুত ওজন হ্রাস, বিষাদময়তা ইত্যাদি। যক্ষ্নারোগীর সাধারণত সন্ধ্যায় বা রাতে জ্বর আসে, জ্বর ছাড়ার সময় প্রচুর ঘাম হয় এবং সকালের দিকে জ্বর থাকে না।
যক্ষ্না কিভাবে ছড়ায় ?
যক্ষ্নায় আক্রান্ত রোগী বিনা চিকিৎসায় থাকলে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে জীবানু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে যে কোন মানুষ যক্ষ্নায় আক্রান্ত হতে পারে।
যক্ষ্না হলে করণীয়ঃ
যক্ষ্না বা টিবি হলে ঘাবরে যাওয়ার কোন কারণ নাই। ডাক্তার ও রোগীর সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে যক্ষ্না বা টিবি রোগ নিরাময় করা সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে ধৈর্য সহকারে অতি সচেতনতার মাধ্যমে নিয়মিত ও ক্রমাগত এ রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে হবে। অনিয়মিত ঔষধ সেবন বা নির্ধারিত সময়ের আগে ঔষধ বন্ধ করলে যক্ষ্না নিরাময় হবে না এবং অনেক সময় ব্যয় বহুল এম ডি আর যক্ষ্না হতে পারে। এম ডি আর যক্ষ্নাখুবই ভয়াবহ যা সহজে নিরাময় হয় না। যক্ষ্না রোগ ধরা পড়লে মান সম্মত ঔষধ নিয়মিত সেবন করলে (ছয় মাস) এ রোগ সম্পূ র্ণ ভালো হয়ে যায়। আর এ জন্যই যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীতে ডটস্ পদ্ধতি চালু হয়েছে।
WUm& (DOTS)Directly Observed Treatment Short Course.বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্ঠায় যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী আশাব্যঞ্জক হলেও এখনো এম ডি আর ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ২০১২ সালে জাতীয় যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর আওতায় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬২ জন যক্ষ্না রোগী সনাক্ত করা হয়েছে এবং চিকিৎসার আওতায় এসেছে। চিকিৎসার সফলতার হার ছিল ৯২ শতাংশ যা প্রশংসার দাবী রাখে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১১ সালে বিশ্বে ১ কোটি ২০ লাখ লোক যক্ষ্নায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। যক্ষ্না বিশ্বব্যাপি একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ২২টি যক্ষ্না প্রবণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ।
বিশেষজ্ঞদের মতে যক্ষ্না চিকিৎসার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে রোগির ঔষধ খাওয়া নিয়ে। রোগিরা কিছুদিন ঔষধ খাওয়ার পর বিভিন্ন কারনে বন্ধ করে দেন। দেশে এ রকম চিকিৎসা শুরু করার কিছুদিন পর বন্ধ করে দেয়ার হার ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ। এভাবে বার বার চিকিৎসা শুরু এবং বন্ধ করার ফলে যক্ষ্নার জীবাণুগুলো ব্যবহৃত ঔষধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। ফলে এসব ঔষধ অকার্যকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায় (সংবাদ পত্রে প্রকাশিত) ঔষধে ভালো হয় না এমন যক্ষ্নায় আক্রান্ত রোগীও আছে বাংলাদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতেই ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্নার প্রকোপ সবচেয়ে বেশী।
যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণে সামাজিক অপবাদ রয়েই গেছে। সরকারের যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর সঙ্গে ব্রাকসহ ৪৩টি সংস্থা দেশজুড়েযক্ষ্না নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরী। যক্ষ্না র ব্যাপারে সামাজিক অপবাদ কুসংস্কার এখনো রয়ে গেছে মানুষের মধ্যে। ১৯৯৩ সালে যক্ষ্নাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোবাল ইমার্জেন্সি গ্রহণ করার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারী সংস্থা যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটা সময় ছিল বলা হতো যার হয় যক্ষ্না তার নাই রক্ষা, আর এখন বলা হচ্ছে যক্ষ্না হলে রক্ষা নাই এ কথার ভিত্তি নাই। যক্ষ্নার কার্যকর চিকিৎসা বের হওয়ার পর থেকেই এ প্রাচীন প্রবাদ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণে সরকার বিনামূল্যে ঔষধ ও চিকিৎসা দিচ্ছে। সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে পুনরায় দেশে যক্ষ্নার প্রকোপ নির্ণয় করতে গিয়ে দেখা গেছে শনাক্তকরণের অভাবে দেশে বাড়ছে যক্ষ্নার প্রকোপ। এ মতামত দিয়েছেন যক্ষ্না বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন এ যাবৎ যক্ষ্না নিয়ে যেসব অনুমান ভিত্তিক গবেষণা করা হয়েছে তার চেয়ে বাংলাদেশে যক্ষ্নায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে প্রতি বছর সাড়ে তিন লাখ মানুষ নতুন করে যক্ষ্না রোগে আক্রান্ত হয় এবং ৪,৭০০(চার হাজার সাতশত) জন এম ডি আর টি বি (ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্না রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয় সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য(এমডিজি) নির্ধারণের সময় যক্ষ্নায় আক্রান্ত, যক্ষ্নার প্রকোপ ও যক্ষ্নায় মৃত্যু কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল বাংলাদেশ তা অর্জন করতে পারে নি।
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সময় বলা হয়েছিল বাংলাদেশে নতুন রোগী শনাক্তের হার(প্রতি লাখে) ১২০ করা হবে, বর্তমানে সেই হার ৫৩। ১৯৯০ সালে যক্ষ্নার প্রকোপের হার ছিল ৫০৪(প্রতি লাখে)। বলা হয়েছিল এ হার কমিয়ে ২৫০ করা হবে কিন্তু বর্তমানে তা ৪০২। অন্যদিকে যক্ষ্নায় মৃত্যুর হারও কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। বছরে প্রতি লাখে ৮০ জনের মৃত্যু হতো যক্ষ্নায় যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০। বর্তমানে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে যক্ষ্নায় ৫১ জনের মৃত্যু হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর ২০১৫ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি প্রভাবশালী জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট বলছে বাংলাদেশের বক্ষব্যাধি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৯ শতাংশ্বের শরীরে যক্ষ্নার জীবাণু শনাক্ত হচ্ছে। অন্য রোগের চিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি হতে এসে তারা টিবি আক্রান্তের বিষয়টি জানতে পারছেন। অর্থাৎ নিজেদের অজান্তেই এই জীবাণু বহনকারীরা নিজেরা যক্ষ্নায় ভুগছেন এবং অন্যদের শরীরে ছড়াচ্ছে। যক্ষ্না বিশেষজ্ঞদের মতে কেবল তিন সপ্তাহের বেশী কাশি হওয়া নয়, ওজন কমে যাওয়া, ঘুম না হওয়া, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্ষুধামান্দা কিংবা কাশির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া – এসবের যে কোন একটি হলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
যক্ষ্না নিয়ন্ত্রনে নাটাবঃ
উদ্দেশ্য (Mission): বাংলাদেশের যক্ষ্নায় আক্রান্ত নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা এবং বাংলাদেশের সকল মানুষকে যক্ষ্নারোগ ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা ।
লক্ষ্য (Mission)t যক্ষ্না রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু হার এমন পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসা যাতে যক্ষèা দেশে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান না থাকে।
যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী সফলতার পিছনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের যৌথ ভূমিকা অনস্বীকার্য। অত্যন্ত প্রাচীন সংগঠন হচ্ছে নাটাব, যা জাতীয় যক্ষ্না নিরোধ সমিতি নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সালে পাকভারত স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী চালু করে বাংলাদেশের তৎকালীন পুর্বপাকিস্থানের বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নাটাব। কিন্তু সরকারীভাবে ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পাশে যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নামে একজন ব্রিটিশ চিকিৎসক ড. ডিমার্কি প্রথম যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী চালু করেছিলেন। আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে যক্ষ্না মুক্ত করতে নাটাব নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য নাটাব যক্ষ্নারোগী শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যক্ষ্না রোগীরা চিকিৎসা নিলেও নিয়মিত ঔষধ সেবন এবং পূর্ণ মেয়াদে চিকিৎসা গ্রহন করেন না। নাটাব সরকারের ডটস্ কর্মসূচীর অংশীদার হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করে আসছে। এ সমস্ত কর্মসূচীর মধ্যে আছে এডভোকেসী সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, র্যালি, রোগীদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ইত্যাদি। গণমানুষের মাঝে যক্ষ্না সম্পর্কিত প্রচার কাজ নাটাব সুশীল সমাজকে সাথে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছে।
ভূল ধারনা কুসংস্কার যক্ষ্না নিয়ন্ত্রণে অন্তরায়। যক্ষ্না বিষয়ে সমাজে এখনও অনেক ভূল ধারনা রয়ে গেছে। এ ভ্রান্তি দূর করতে জনসচেতনতা বাড়াতে নাটাব নিয়মিত সারাদেশে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের অংশগ্রহনে মতবিনিময় ও এডভোকেসী সভা করে যাচ্ছে। কুসংস্কার থাকার কারনে যক্ষ্নায় আক্রান্তরা প্রকাশ্যে নিজের রোগটি সম্পর্কে অপরকে বলতে পারে না যে তার যক্ষ্না হয়েছে বা চিকিৎসা চলছে। আবার অনেকে লোকে জেনে ফেলবে এ ভয়ে চিকিৎসাও নিতে চায় না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে জন সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। ২৪শে মার্চ বিশ্ব যক্ষ্না দিবস। বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে যক্ষ্না সম্পর্কে সচেতনতার জন্য এ দিবসটি পালিত হয়। দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই বাংলাদেশকে যক্ষ্না মুক্ত করা সম্ভব।
উপসংহারঃ
বাংলাদেশের জন্য যক্ষ্নাএকটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। কোন সংস্থার পক্ষে এককভাবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য সরকারী বেসরকারী পর্যায়ের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সমষ্টিগত প্রচেষ্ঠার দ্বারা সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সমস্যা মোকাবিলা করা ব্যতীত অন্য কোন বিকল্প উপায় নেই। যক্ষ্না প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়াতে হলে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। এ ব্যাপারে সরকারী বেসরকারী সংস্থার পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলোও বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের আগামী প্রজন্মকে যক্ষ্না রোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে হলে এ ব্যাপারে আমাদের এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
লেখক ব্যাংকার কলামিষ্ট মোহাম্মদ আবু তাহের এডভোকেট সাধারণ সম্পাদক নাটাব, মৌলভীবাজার জেলা শাখা।
মন্তব্য করুন