যাকাতদাতাগণ – লক্ষ্য করুন আত্মীয়-স্বজনের দারিদ্র দূরীকরণে এগিয়ে আসুন দুই/একটি ছেলেকে কারিগরী শিক্ষার সুযোগ করে দিন
স্টাফ রিপোর্টার॥ হযরত নবী করিম সা. বলেছেন, æহে উম্মতে মুহাম্মদী, কছম ঐ খোদার, যিনি আমাকে হক্বের সাথে পাঠিয়েছেন, আল্লাহ তাআ’লা ঐ ব্যক্তির সাদক্বাহ্১ কবুল করেন না, যার আত্মীয় তার দানের মুখাপেক্ষী, অথচ সে (তাহাদিগকে না দিয়ে) অন্যদেরকে দিয়ে দেয়। ঐ খোদার কছম, যার কুদরতী হাতে আমার জান, আল্লাহ তাআ’লা তার দিকে কিয়ামতের দিন নজর করবেন না।”-রাদ্দুল মোখতার (সূত্র: বিষয়ভিত্তিক মাসয়ালা-মাসায়েল, পৃষ্ঠা: ২৮৪-২৮৫, মূল- হাকীমুল উম্মত হযরত মাওঃ আশরাফ আলী থানভী রহ.,
{১. ‘সাদক্বাহ্’ শব্দ দ্বারা ‘যাকাত’ বুঝায় (দেখুন- ছুরা তাওবা, আয়াত- ১০৩)।}
মহানবী সা. বলেছেন, æদরিদ্রতা মানুষকে কুফরীর দিকে নিয়ে যায়”। (মিশকাত শরীফ)
সমাজের কারো আর্থিক অবস্থা যেন দারিদ্রসীমার নিচে নেমে না যায়, সেজন্যই ধনীদের উপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে। এটা হচ্ছে ইছলামী অর্থনীতির এক বিশেষ কল্যাণময় দিক। আবার যাকাত পাবার প্রথম হকদার হচ্ছেন গরীব আত্মীয়-স্বজন।
(আত্মমর্যাদাসম্পন্ন দরিদ্র ব্যক্তিকে যাকাত দেবার সময় ‘যাকাত’ শব্দ গোপন রাখলেও যাকাত আদায় হবে।
দাতা মনে মনে যাকাত দেবার নিয়ত করলেই হবে। দেখুন- যাকাত সম্পর্কিত বই-পুস্তক।)
স্মরণযোগ্য যে, মহানবী সা. এক সাহায্যপ্রার্থীকে কুড়াল দিয়ে উপার্জনের পথ ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে- সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে যাকাত দিয়ে দরিদ্র পরিবারগুলোকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলে পাঁচ বছর পর যাকাত নেয়ার মত গরীব লোক এদেশে পাওয়া যাবে না (ভিক্ষা ব্যবসায়ীদের কথা ভিন্ন)। মুছলমানদের দেড় হাজার বছরের ইতিহাসে তা বার বার প্রমাণিত।
আমাদের আহ্বানঃ গরীব আত্মীয় পরিবারের দুই/একটি ছেলেকে কারিগরী শিক্ষার সুযোগ করে দিন।
আপনাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্য থেকে গরীব পরিবারের দুই/একটি ছেলেকে ‘জামেয়া দ্বীনিয়া’ মাদরাসার কারিগরী বিভাগে ভর্তি করে দিতে পারেন। এখানে তিন মাসে সে দ্বীনি জরুরী বিষয় ও হাতে-কলমে বিভিন্ন কারিগরী বিষয় (যেকোন ১টি) শিখে নিতে পারবে।
তার থাকা-খাওয়া ও প্রশিক্ষণ ফি বাবদ মাসে দুই হাজার টাকা আপনার যাকাতের টাকা থেকে তার অভিভাবকের মাধ্যমে দিয়ে দিলে এবং ছেলেটি উপার্জনের যোগ্যতা অর্জন করে নিলে সে পরিবারকে আর যাকাত দিতে হবে না। উপরন্তু সেও ভবিষ্যতে যাকাত দেয়ার মত আর্থিক সামর্থ্য অর্জন করে নিতে পারে।
শুধু প্রশিক্ষণ দিয়েই শেষ নয়, উপার্জনের ব্যাপারেও তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হবে।
দারিদ্র দূরীকরণ এবং ইছলামী সমাজ ব্যবস্থার আলোকিত দিক ফুটিয়ে তোলার এ শুভ উদ্যোগে সকলের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
নিবেদক,
ডাঃ আব্দুর রহমান (মানিক), ডি.এইচ.এম.এস
বিভাগীয় প্রধান,
কারিগরী ও কর্মসংস্থান বিভাগ, জামেয়া দ্বীনিয়া, পূর্ব মোস্তফাপুর, মৌলভীবাজার।
মোবাইল ঃ ০১৭৪২-৯০৯১৫১
মন্তব্য করুন