যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ:- কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে বাঁশের সাঁকো !
ইমাদ উদ দীন॥ আঞ্চলিক ওই মহা সড়কের কয়েকটি স্থানে চলেনা গাড়ি। বন্যার পানিতে সড়ক পথের ওই স্থান গুলো এখনো ডুবন্ত। তাই স্থানীয়রা উদ্যোগী হয়ে নির্মাণ করেছেন বাঁশের সাঁকো। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়া স্থান গুলো পারাপারে ভরসা সাঁকো, ট্রাক, ট্রাক্টর কিংবা পাওয়ার টিলার। হাকালুকি হাওর তীরবর্তী উপজেলা গুলোর আঞ্চলিক মহাসড়কের এখন এমন বেহাল অবস্থা। বারবার বানের পানিতে তলিয়ে জাওয়ায় সড়ক গুলোর এমন বড় ধরনের ক্ষতি। হাওর হাকালুকির তীরবর্তী কুলাউড়া,জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার ছোট বড় সড়ক গুলোর এখন এমন নাজুক অবস্থা। পানিতে তলিয়ে থাকা অনেক সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় ৩ উপজেলার মানুষের দূর্ভোগের অন্তনেই। এখনো অনেক জায়গায় সড়কের উপর সৃষ্ট গর্তে পানি থাকায় চলার পথে গাড়ি চালক ও পথচারিরা অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। বানের পানি চলে গেলে দ্রুত সংস্কার না হলে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো বাড়বে এবং ওই সড়ক পথের উপকার ভোগীরা আরো দূর্ভোগ পড়বেন বলে জানালেন স্থানীয়রা।
সরজমিনে সড়কগুলোর এমন দূর্দশার চিত্র চোখে পড়ে। মৌলভীবাজার থেকে বড়লেখা যাওয়ার পথে কুলাউড়া শহর পাড়ি দিলে দেখা মিলে সড়কের এমন বেহাল অবস্থার। কুলাউড়া থেকে বড়লেখা যাওয়ার পথে ছোট বড় অন্তত ২৫-৩০টি স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম হাতলিয়া এলাকায় ৪ স্থানে বন্যার পানি উঠার কারণে সড়কের বিভিন্নস্থানে বড় ও গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সড়কের উপকার ভোগীদের তরফে অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত থাকার অজুহাতে প্রায় ২ মাস যাবত গর্ত ভরাটের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে যাত্রীরা মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তবে সম্প্রতি স্থানীয়রা ওই স্থানে জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সড়কের ডুবে যাওয়া অংশ পারাপারের জন্য সড়কের পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন। জানা যায় প্রায় ২ মাস থেকে কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম হাতলিয়ার ৪ স্থানসহ সড়কের ১৫টি স্থান দুই-তিন ফুট পানিতে ডুবন্ত রয়েছে। প্রায় ২মাস যাবত বন্যার পানি থাকায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি মারাতœক ক্ষতি হয়েছে। সড়কের এমন বেহাল দশার কারনে যান চলাচলও স্বাভাবিক হচ্ছে না।
ঝুঁকি নিয়ে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও যাত্রীদের স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। এসব কারণে সম্প্রতি স্থানীয়রা সড়কের পাশের বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। সরেজমিনে দেখা যায় বন্যার পানি দ্রুত নামতে না পারায় বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম হাতলিয়ার চারটি স্থান পানিতে ডুবন্ত রয়েছে। অনেকেই ডুবে যাওয়া অংশ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন। এছাড়া ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলারসহ কিছু যানবাহন চলাচল করছে। অনেক যানবাহন পানি আর বড় বড় গর্তের মধ্যে সড়কে চলতে গিয়ে বিকল হচ্ছে। এরকম অনেক র্দূঘটনাও ঘটছে। এ নিয়ে অনেক সময় যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গাড়ি চালকরা জানান অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে ওই স্থানগুলো পারাপার হচ্ছেন। তারা জানান জেলা শহরের সাথে যোযোগের একমাত্র সড়ক পথটির এমন বেহাল দশার কারনে এখন সরাসরি যোগাযোগ অনেকটাই বিঞ্চিন্ন রয়েছে। তাদের দাবী এই আঞ্চলিক সড়ক পথের উপকার ভোগীদের চরম দূর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেন। স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলা স্বাভাবিক হচ্ছে না। ডুবে যাওয়া অংশ পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়াও দিতে হচ্ছে। এজন্য জনদুর্ভোগ লাঘবে এলাকার কয়েকজন সড়কের পাশে বাঁশের সাকোঁটি তৈরী করে দিয়েছেন। এখন বানের পানিতে ডুবে থাকা ওই অংশ অনেকটাই ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেব নাথ বিকেলে মুঠোফনে জানান আমরা ওই সড়কের ১০টি স্থান বন্যার পানিতে বড়ধরনের ক্ষতি এবং ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তা সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্ধ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন