যুবলীগ বৃস্টল বাথ এন্ড ওয়েস্ট শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত
খায়রুল আলম লিংকন॥ যুক্তরাজ্য যুবলীগ বৃস্টল বাথ শাখার উদ্যোগে বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও দোয়ামাহফিল গতকাল বৃষ্টলের স্থানীয় চাই পানি রেষ্ষ্টুরেন্টে অনুষ্টিত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য যুবলীগ বৃস্টল বাথ শাখার সভাপতি খায়রুল আলম লিংকন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক লিটন আলম বদরুল এরপরিচালনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য যুবলীগ সভাপতি ফকরুলইসলাম মধু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য যুবলীগ সাধারন সম্পাদক সেলিম আহমদ খান, আওয়ামীলীগ বৃস্টল বাথ এন্ড ওয়েস্ট শাখার সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী রুকু, ভারপ্রাপ্তসাধারন সম্পাদক আরিফ উদ্দিন, ট্রেজারার সমর আলী, বৃষ্টল বাংলা প্রেসক্লাব সভাপতি কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাউজ সভাপতি ফখরুল আলী, আওয়ামীলীগ নেতা গোলাপ মিয়া, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহসভাপতি শামসাদুর রহমান রাহিন, সহ সভাপতি ফয়জুর রহমান চৌধুরী মোস্তাক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জামাল আহমদ খান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন লিটন, জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদকআহমদ হোসেন চৌধুরী নাজিব, হিথ্রো যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুস শহীদ প্রমুখ।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৃষ্টল যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক তারিফুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান। দোয়ার পর ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সহ সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।সভায় বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন ১৫ই আগস্ট মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর একটি শোকের দিন।
১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতিরমুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকান্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুরএকমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেনেন্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতাপুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনকের ভগ্নিপতিআব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধাননিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল আহমেদ সহ কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন বলে উল্লেখ করে শোকাবহ এই দিনে,বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদেরগভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে ১৫ই আগস্ট এর হত্যাকা-ের দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে ফাসির রায় কার্যকর করার জন্য জোর দাবী জানান।
বক্তারা বলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এ বাঙালি শুধু একজন মানুষই নন, একটি চেতনা, একটি অধ্যায়। তিনি এ দেশেরগণমানুষের মুক্তির উপলক্ষ, এ জনপদের বহুদিনের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতার রূপকার। তাঁর হাত ধরেই লাল-সবুজের একটি স্বাধীন পতাকার অধিকার পায় এ বঙ্গভূমি। পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের কূটকৌশলছিন্ন করে তাঁর দূরদর্শী রাজনীতি ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের বলেই ১৯৭১ সালে বিশ্বের মানচিত্রে অংকিত হয় আমাদের এই প্রাণের বাংলাদেশ।দেশে বেশি বেশি বিনিয়োগ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্তবাংলাদেশ বিনির্মানে ভুমিকা রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্টানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা রফিক খান, মবশ্বির আলী, জিয়াউল হক, যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল ওয়াহিদ, ছিদ্দিক আলী, সামসুল আলম মেহেদী, মাসুম আহমদকয়েছ, আব্দুল কাইয়ুম, রিপন মুন্সী, তবারক আলী, যুবলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার আহমদ রাসেল, জাকির আহমদ, মোবারক আলী, জাহেদ আহমদ, রকিব আহমদ কুদ্দুস, কাউসার আহমেদপ্রমুখ।
মন্তব্য করুন