রাজনগরের দেওয়ানদীঘি হতে তারাপাশা পালপুর রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে বেহাল দশা
শংকর দুলাল দেব॥ রাজনগরের দেওয়ানদীঘি হতে তারাপাশা-পালপুর রাস্তা খানাখন্দে বেহাল দশা। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। রাস্থাটির অবস্থা এতটাই খারাপ যেন দেখার কেউ নেই। জনবহুল এ রাস্তা দীঘদির্ন ধরে সংস্কার না করায় বর্তমানে তা একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুরো রাস্তা জুড়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্ঠি হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। তবে রাজনগর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে শীঘ্রই রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রাজনগর উপজেলার দেওয়ানদীঘি হতে তারাপাশা-পালপুর পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ কোন সংস্কার কাজ না করায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুরো রাস্তা জুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, মটর শ্রমিক, রিক্সা শ্রমিক সহ শ্রমজীবি মানুষজন এ গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল রাস্তাটি সংস্কার না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বিপাকে পড়েছেন এলাকার অসহায় লোকজন। খানাখন্দে ভরা এ রাস্তার এখন বেহাল অবস্থা। রাস্তাটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে মাঠি বের হয়ে পুরো রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্ঠি হয়েছে। বৃষ্টির সময়ে এবং রাতের বেলায় রিক্সা, মোটরসাইকেল ও গাড়ির যাত্রী এবং মালামালবাহী গাড়ি গুলো গর্তের গভীরতা বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন। চলাচলের অনুপযোগী এসব রাস্তায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। জন গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি সংস্কার না করার কারণে এলাকার ব্যবসায়ী, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহিতা মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ সহ স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও পড়েছে চরম বিপাকে।
এ ব্যাপারে কামারচাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম জানান, দুর্দশাগ্রস্ত জনবহুল এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বর্তমান সংসদ সদস্য নেছার আহমদের প্রচেষ্টায় অনুমোদন পেয়েছে। আশারাখি শীঘ্রই যথাযত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংস্কার কাজটি শুরু হবে। এদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান জানান, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সিলেট, মৌলভীবাজার, রাজনগর, সমশেরনগর সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন অবহেলার কারণে রাস্তাটি সংস্কার হয়নি। দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সংস্কার কাজ শুরু করার জন্য কামারচাক ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে রাজনগর প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানাযায়, রাজনগর উপজেলার দেওয়ানদীঘি হতে তারাপাশা-পালপুর পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, ঢাকা থেকে “বন্যা (২০২২) এর ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের” অধীনে ১৭ কোটি ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮১ টাকার আনুমানিক ব্যয় নির্ধারণ সহ যথাযত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করণের মাধ্যমে কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং উক্ত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করতে নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, মৌলভীবাজারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিগত ও চলতি অর্থবছরে রাজনগরে বেশ কিছু গ্রামীন রাস্থা সংস্কার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় যথাযত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শীঘ্রই দেওয়ানদীঘি হতে তারাপাশা-পালপুর পর্যন্ত রাস্তাাটির সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা প্রকৌশলী (অঃদাঃ) রাজু সেন জানান, দেওয়ানদীঘি হতে তারাপাশা-পালপুর পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটির টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন