রাজনগরের ১০ গ্রামে সংঘর্ষের সালিশি বৈঠক : ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাটবাজারে ৫ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনার নিষ্পত্তি হয়েছে।
২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলার খেয়াঘাটবাজারে এক রুদ্রধার সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বহুল কাঙ্খিত সমস্যার সমাধান হয়। বৈঠকে বাদী-বিবাদীদের বক্তব্য ও স্বাক্ষীগণের বক্তব্য শোনার পর বোর্ডগঠন ও চুলচেড়া বিশ্লেষন করে বজারের ক্ষতিগ্রস্থ বাজার ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে ১০ লাখ ও আরেক ব্যবসায়ী লুৎফুর মেম্বারকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এর আগে সাড়ে ৫ লাখ টাকা আমানত করে উভয় পক্ষের ১১ লাখ টাকা সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়াও বাজারের ক্ষতিগ্রস্থ অন্যান্য দোকানের ক্ষতিপূরণ বাবৎ ১ লাখ টাকা আদায় করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ভবিষ্যতে বাজারে কেউ অন্যায়ভাবে মারামারি করে থাকলে আগে ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সাম্প্রদায়ীক মারামারি পরিহার করতে এলাকার সবাইকে সচেতন করা হয়।
সালিশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, রাজনগর উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, উপজেলা আ’লীগ’র সাধারণ সম্পাদক মিলন বখ্ত, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জিতু মিয়া, সালিশি ব্যক্তিত্ব ক্বারী শামছুল হক, সাবেক ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান জামি আহম্মদ, পাঁচগাও ইউপি চেয়ারম্যান আজাদুর রহমান, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ, জহুর আলীসহ অনেকে।
উল্যেখ্য, চলতি বছরের ২০ মার্চ তুলাপুর গ্রামের কিছু যাত্রী ব্যাটারি চালিত রিক্সা নিয়ে খেয়াঘাট হয়ে পশ্চিমে যাবার পথে বাজারের পশ্চিম সিএনজি স্ট্যান্ডের চালকরা বাঁধা দিলে ওই যাত্রীদের সাথে চালকদের ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে তুলাপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফুর মিয়া জড়িয়ে পড়লে তুলাপুর ও সিএনজি স্ট্যান্ড এর চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ আরো বেড়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় তুলাপুর, গবিন্দপুর, মোকামবাজার ও শাহাপুর, বেড়কুড়ি ও হামিদপুর গ্রামসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ জড়ো হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। সংঘর্ষ চলাকালে বাজারের জাকির হোসেন’র দোকান লুঠপাট করে প্রায় ৩০/৪০ লাখ টাকার মালামাল লুঠ ও লুৎপুর মেম্বারের কোল ড্রিনংসসহ কিছু মালামাল লুঠপাঠ করা হয়।
মন্তব্য করুন