রাজনগরে আশ্রমের জমিতে মার্কেট নির্মাণে দূর্নীতির অভিযোগ এনে ১০ সদস্যের পদত্যাগ
বিশেষ প্রতিনিধি॥ রাজনগরের ফতেহপুর ইউনিয়নের বিলবাড়ি গ্রামে ৪ কোটি টাকা মূল্যের জীউ আশ্রমের জমিতে মার্কেট নির্মাণে দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশ্রম কমিটির ১০ জন সদস্য লিখিত পদত্যাগপত্র দিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ করেন। জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের কাছেও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ওই আশ্রমের জমি নিয়ে দুই পক্ষের মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। কমিটির সদস্যদের পদত্যাগ করায় এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফতেহপুর ইউনিয়নের বিলবাড়ি গ্রামে প্রায় ৩শ’ বছরের পুরনো ‘শ্রী শ্রী কানাই লাল জীউ আশ্রম’ রয়েছে। ওই আশ্রমে বিলবাড়ি, লামা বিলবাড়ি, যাত্রাপুর, ও তুলাপুর গ্রামের বাসিন্দারা ধর্মীয় অনুষ্ঠানাধি করে থাকেন। আশ্রমের পার্শবর্তী খেয়াঘাটবাজারে আশ্রমের নামে জেএল নং ১১ এর ৬৫৫৬ দাগে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৩৪ শতক জমি রয়েছে। ওই আশ্রমকে কেন্দ্র করে তুলাপুর গ্রামের নৃপেন্দ্র কুমার দাসকে সভাপতি ও বিলবাড়ি গ্রামের নারায়ন দাসকে সম্পাদক করে একটি কমিটি সৃষ্টি করা হয়। ওই কমিটি আশ্রমের মূল্যবান জমিতে মার্কেট নির্মাণের শুরু করেন।
এনিয়ে স্থানীয় গূণেন্দু দাসসহ ৫ জন আশ্রমের জমি বেহাত ও বিভিন্ন অভিযোগে আদালতে মামলা করলে আদালতের স্থগিতাদেশ এবং সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টেরও স্থগিতাদেশ রয়েছে। এদিকে মার্কেট নির্মাণ শুরুকারী কমিটির সহ-সভাপতি, সহসাধারণ সম্পাদকসহ ১০জন সদস্য জেলা প্রশাসকের কাছে পদত্যাগ দিয়েছেন। এতে তারা বর্তমান কমিটির ২-৩ জন বিশেষ সদস্যের পরামর্শ নিয়ে কতিপয় ব্যক্তি দেবতার স্বার্থ ও প্রকৃত ধর্মীয় উদ্দেশ্যের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে নানা আর্থিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারী মনোভাব ও সীমাহীন দূর্নীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন। আশ্রম কমিটির সভা আহ্বান না করে মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে আশ্রমের ক্ষতি করছেন।
পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষরকারী আশ্রম কমিটির সহ-সভাপতি অনন্ত কুমার দাস জানান, আমরা কমিটির সদস্য হওয়ার পরও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সভা আহ্বান করা হয়না। আর্থিক বিষয়ে অনিয়ম করার জন্য কয়েকজন সদস্য মিলে বিভিন্ন কাজ করছেন। তাই আমরা অনিয়মের দায়ভার নিতে চাই না।
অভিযোগ ও পদত্যাগ প্রসঙ্গে আশ্রম কমিটির সভাপতি নৃপেন্দ্র দাস নিপু জানান, একটি পক্ষ আশ্রমের ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। স্থানীয়, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতারা এ বিষয়ে সমাধানের জন্য ওই পক্ষকে বারবার অনুরোধ করছেন। কয়েকজন সদস্যের পদত্যাগের বিষয়টি আমার জানা নেই।
মন্তব্য করুন