রাজনগরে কবরস্থান ও বাজারের জমি বন্দোবস্ত নিয়ে জনমনে ক্ষোভ
কুলাউড়া অফিস॥ রাজনগর উপজেলায় কবরস্থান ও একটি বাজারের জমি বন্দোবস্ত দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকার লোকজন গণস্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি ও মানববন্ধন করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনগর উপজেলার কমলারাণীর দীঘির পূর্বপাড়ে কবরস্থান এবং পশ্চিম পাড়েও কবরস্থান, মসজিদ ও শাহ কুতুব উদ্দীন (রাহঃ) এর মাজার রয়েছে। ওই মাজারের পাশেই শাহ কুতুব উদ্দীন (রাহ) এর নামে শত বছরের পুরনো সাহেবের বাজার নামে একটি হাট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮২-১৯৮৩ ইং সন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন হাটবাজার ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী এটির লীজ দিয়ে আসছিল। পাড়ের কবরস্থানে বাজুয়া, সাহেবের বাজার, রাজখলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ লাশ দাফন করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি ঘড়গাঁও গ্রামের কুলসুমা বেগমসহ তার সহযোগিরা ওই জমি ও পূর্ব পাড়ের কবরস্থানের জমি ফল ও ফুল বাগান প্রতিষ্ঠান নামে ইজারা বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেন।
এনিয়ে রাজনগর উপজেলা প্রশাসন সক্রিয় হলে বিষয়টি এলাকার মানুষ জানতে পারেন। এতে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের মানুষ গণস্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন। বিক্ষুব্ধ এলাকবাসী এনিয়ে মানববন্ধনও করেছেন। মানববন্ধনে বক্তরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে অসৎ উদ্দেশে কবরস্থান ও বাজারের জমি লীজ দেয়ার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে বলে জানান।
স্থানীয় লোকজন জানান, কবরস্থান কীভাবে ফল বাগানের জন্য ইজারা দেয়া যায় এটি বোধগম্য নয়। এছাড়াও শাহ কুতুব উদ্দীন (রাহঃ) এর নামে প্রতিষ্ঠিত হাটের জমিও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে লীজ দেয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, যে জায়গাটা বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে সেখানে ৩টা দাগের জমি রয়েছে। আমি এবং সহকারি কমিশনার (ভুমি) সরেজমিন তদন্ত করে দেখেছি জমিটি বন্দোবস্ত যোগ্য না। এব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) একটি তদন্ত প্রতিবেদন আমার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এবং সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের কাছে পাঠিয়েছি।
মন্তব্য করুন