রাজনগরে নার্সের অবহেলা ও অসধাচরণে রোগী মৃত্যু শয্যায়, স্বামীর অভিযোগ
রাজনগর প্রতিনিধি॥ রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নার্সের বিরোদ্ধে রোগীর প্রতি অবহেলা ও অসধাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকালে গুরতর অসুস্থ অবস্থায় রোগীকে রাজনগর থেকে নিয়ে গিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় রোগীর স্বামী মঙ্গলবার ২৩ আগষ্ট রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খারপাড়া গ্রামের দিনমজুর নুরুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া বেগম ৩ মাস আগে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ইমপ্ল্যান্ট নেন।
শনিবার ২০ আগষ্ট সন্ধ্যায় এই পদ্ধতিতে জটিলতা দেখা দেওয়ায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মহিলা বিভাগে কোনো সীট খালি না থাকায় একজন নার্স রাত সাড়ে ৮ টার সময় পুরুষ বিভাগের একটি খালি সীট বরাদ্দ দিয়ে রোগীর শরীরে স্যালাইনের গাঁথেন। পরে ওই নার্সের দায়িত্ব শেষে রাত ১০ টার দিকে স্যালাইন চলা অবস্থায় দায়িত্ব পাওয়া নার্স নাজমা বেগম এসে কে তাকে পুরুষ বিভাগে সীট দিয়েছে তা রোগী সুফিয়া বেগমের কাছে জানতে চান। আগের দায়িত্বরত নার্স সীট দিয়েছেন জানালে নার্স নাজমা বেগম ক্ষুব্দ হয়ে জোর করে রোগীর শরীর থেকে স্যালাইনের সূঁচ খুলে নেন। এতে সূঁচ গাঁথা স্থান দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে। পাশের সীটের রোগীরা এরকম আচরণ করার প্রতিবাদ করলেও তাতে কোনো ফল হয়নি। এসময় নার্স নাজমা বেগম ক্ষুব্দ হয়ে রোগীর স্বামীকে বেশী কথা বললে হাসপাতাল থেকে বের করে দিবেন বলে ধমক দেন। এদিকে সারারাত রোগীর প্রচুর রক্ত ক্ষরণে দূর্বল হয়ে পরলে রবিবার সকালে ডা. আমজাদ হোসেন রোগীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
রোগীর স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, নার্স নাজমা বেগমের অবহেলা ও অসধাচরণে আমার স্ত্রী মৃত্যুশয্যায় রয়েছে। বারবার তাকে রক্ত বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি আমার সাথে দূর্ব্যবহার করেছেন।
অভিযুক্ত নার্স নাজমা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগীর স্যালাইন শেষ হওয়ায় সূঁচ খুলে নিয়েছিলাম। তার সাথে কোনো দূর্ব্যবহার বা অবহেলা করা হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, রোগীর স্বামী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন