রাজনগরে বিকুল চক্রবর্তীর সংগৃহীত মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র ও স্মারক প্রদর্শনী
বিকুল চক্রবর্তী॥ রাজনগরের বালিগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী’র সংগৃহীত মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র ও স্মারক প্রদর্শণী।
শনিবার ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজনগর উপজেলার ৫ জন বীরাঙ্গনা মায়া শব্দকর, মায়া রানী শব্দকর (২), গীতা শব্দকর, রাজিয়া বেগম, তিলুয়া রবি দাশ ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রদর্শণীর উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী।
এ সময় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিনেন্দু ভৌমিক।
রাজনগর বালিগাঁও শহীদ দানু মিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপী এ বিজয় উৎসবে আয়োজিত প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে বাঙ্গালীর স্বাধীকার আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের শতাধিক আলোকচিত্র।
এছাড়াও প্রদর্শিত হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানের আলোকচিত্র, শহীদ পরিবারের পরিচিতিমুলক আলোকচিত্র ও শহীদদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র।
উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শহীদ দানু মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান, পাঠাগারের সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান, উৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জুবের আহমেদ, সাংবাদিক আব্দুর রব. সাংবাদিক বিক্রমজিৎ বর্ধন এবং আলোকচিত্র ও স্মারক প্রদর্শক সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী। এ সময় উপস্থিত ৫ বীরাঙ্গণাদের শীতের ব্লাংকেট উপহার দেন ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দানু মিয়ার সন্তানকে একটি শাল উপহার দেন ডা.সত্যকাম চক্রবর্তী এবং ৫ জন বীরাঙ্গনাকে শাড়ি ও এক বীরাঙ্গনা সন্তানকে শার্ট উপহার দেন শ্রীমঙ্গল রাজা ফিশারীজ এর পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা।
মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী বলেন, কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহামুল্যবান স্মৃতিটুকু। এ স্মৃতিকে ধরে রাখতে তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও স্মারক সংগ্রহ করে এবং ছবি তুলে প্রদর্শণীর মাধ্যমে সমগ্র মৌলভীবাজার জেলার নতুন প্রজন্মের মনন ও মানসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়াসে এই কাজ করছেন। তিনি জানান, তিনি মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি প্রদর্শণী করেছেন। প্রদর্শণী চলেবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৩ দিন ব্যপী বিজয় উৎসবের সভপতি মো. আব্দুল হান্নান জানান, বিগত ১৪ বছর ধরে তারা এ বিজয় উৎসব করে আসছেন। মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শণী ছাড়াও তাদের এ আয়োজনে রয়েছে অর্ধশতাধিক ইভেন্টের খেলাধুলা। যে খেলায় গ্রামের নারী পুরুষ শিশু কিশোররা অংশনেন। উৎসবকে সামনে রেখে বসেছে বিশাল মেলা।
মন্তব্য করুন