রাজনগরে মন্দিরের নাম ফলক নিয়ে লংকাকান্ড : আহবায়ক কমিটি গঠিত
স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজনগরের কামারচাক ইউনিয়নের তারাপাশা শ্রী শ্রী বিষ্ণু পদ ধাম মন্দিরের নাম ফলক, মন্দিরের ভিতরে অলিলা সাইনবোর্ড ও সভাপতি নেপাল দত্তকে মারধরের ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনা রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পালের হস্তক্ষেপে পরে তা নিরসন হয়েছে।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ এপ্রিল মন্দির কমিটির সভাপতি নেপাল দত্ত রাজনগর থানায় অভিযোগের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল, রাজনগর থানার অফিসাস ইনচার্জ আবুল হাশেম ও মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দ ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা আলোচনা করেন।
বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহ্বায়ক ও পূজা উৎযাপন কমিটির সহ-সভাপতি কেতকি রঞ্জন ভট্রাচার্য্যকে সদস্য সচিব করে একটি আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় এবং বর্তমান কমিটি নতুন কমিটি করার পূর্ব পর্যন্ত মন্দিরের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে বলে সিন্ধান্ত হয়েছে।
মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় ৯ এপ্রিল শ্রী শ্রী বিষ্ণু পদ ধাম মন্দির কমিটির সভাপতি রাজনগর থানায় অভিযোগে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুদ্রজিৎ দেব বেলা ১২টায় মন্দিরের বসা ছিলেন।
হঠাৎ করে ৩০/৪০জন লোক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে মন্দিরের নাম ফলক ও অলিলা নামের একটি সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। সভাপতি এ ঘটনার কারন জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, মন্দিরের বর্তমান কমিটিকে মানবে না। তারা নতুন কমিটি গঠন করবে। সভাপতি মন্দির কমিটির মেয়াদ আরো ৮মাস রয়েছে বলে প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা সভাপতিকে মারধোর করে। এসময় তার গলায় ছুরি ধরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে।
রাজনগর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নাম প্রকাশে অনিচছুক মন্দিরের ভক্ত অনেকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিবৃন্দ মন্দিরকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই জঘণ্য ঘটনা ঘটিয়েছে।
এব্যাপারে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম বলেন, শ্রী শ্রী বিষ্ণু পদ ধাম মন্দিরের কমিটি নিয়ে এখানে একটি বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে অবগত করলে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে এনিয়ে কোন ধরনের বিশৃংখলা না করার নির্দেশ দেয়া হয়। তাছাড়া পরদিন শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহব্বায়ক ও পুজা উৎযাপন কমিটির সহ-সভাপতি কেতকি রঞ্জনকে সদস্য সচিব করে ২০সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। পূর্বের কমিটি ও শুক্রবার করা কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
থানায় অভিযোগ হয়েছিল স্থানীয় ভাবে সমাধান হয়ে যাওয়ায় অভিযোগটি আর আমলে নেওয়া হচ্ছে না। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন,কমিটি নিয়ে জটিলতা তৈরী হওয়ায় আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা বৈঠক শেষে একটি আহব্বায়ক কমিটি ঘোষনা করেছি। আহব্বায়ক কমিটির মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
মন্তব্য করুন