রাজনগরে মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য লিটন মিয়ার উপর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন
রাজনগর প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউপির ৬নং ওয়ার্ড সদস্য লিটন মিয়ার উপর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গয়াসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ডেও শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ৬নং ওয়ার্ড সদস্য লিটন মিয়া বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে আমি জনগণের ভোটে ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হই। নির্বাচিত হবার পর থেকে আমি ওয়ার্ডবাসীর জন্য উন্নয়নমুলক কাজ করতে আপ্রান চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল আমার উন্নয়ন কাজে বাধা ও আমার ক্ষতি করতে হীন প্রচেষ্ঠায় লিপ্ত আছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২৩/০৭/২০১৬ ইং তারিখে টিকরপাড়ার পূর্ব পার্শ্বেও গয়াসপুর এলাকায় লেবু মিয়ার বাড়িতে রাত সাড়ে ১২টায় অসামাজিক কার্যক্রম চলছে এমন খবর দেন স্থানীয়রা। এ অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় লেবু মিয়ার মেয়ে হেনা বেগম ও বড়দল গ্রামের মুজিব মিয়াকে স্থানীয়রা আটক করে। পরে রাজনগর থানাকে বিষয়টি অবহিত করা হলে থানার এসআই দৌস মোহাম্মদ হেনা ও মুজিবকে আটক করেন। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা নং-২৯/১৬ (রোজ) রুজু হয়। তিনি বলেন ওইদিন রাজনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া থানায় জোর তদবীর চালিয়ে যান তাদেও মুক্ত করার জন্য। রাজনগর থানার ওসি তার তদবীর আমলে না নিয়ে তাদের আদালতে প্রেরণ করেন। তিনি বলেন,পরে হেনা ও মুজিব গত ২৩/১০/১৬ইং তারিখে আদালতে সেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করলে অব্যাহতি পায়। লিখিত বক্তব্যে লিটন সাংবাদিকদের বলেন, উক্ত মামলায় আমি স্বাক্ষী থাকায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হেনা বেগম এর খালা জৈনক রুজিনা বেগম কে দিয়ে গত ২৩/০৭/২০১৬ ইং তারিখে ঘটনা উল্যেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-৩৬৮/১৬ইং । এই মামলায় মুহিবুর মিয়া,মুসা মিয়া,গোলাপগঞ্জ থানার রানাপিং গ্রামের রেজাউল করিম নিজামসহ আমাকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারায় এ মিথ্যে মামলাটি দায়ের করা হয়। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন,রাজনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরুক মিয়া সমাজে বলে বেড়িয়েছেন যে, আমাকে ওয়ার্ড সদস্য পদে থেকে কাজ করতে দেবেন না। তিনি আরো জানান, রুজিনা বেগম তারই নির্দেশে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ যাচাই-বাচাই করে মামলার সত্যতা উদঘাটন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে মাননীয় আদালত মামালটি রাজনগর থানায় অর্পণ করে। পরে থানার এসআই দৌস মোহাম্মদ মামলটি পূর্ণ তদন্ত করে মিথ্যা মর্মে একটি প্রতিবেদন আদালতে পাঠান। পরবতীতে বাদিনীর না রাজীর প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে আমি আদালতে আত্বসমর্পণ করে এক সপ্তাহ পর জামিনে মুক্তি পাই। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য শামিম আহমদ,৪নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল হোসেন,৭নং ওয়ার্ড সদস্য বেলাল আহমদ, বিশিষ্ট শিল্পপতি খায়রুল এনাম খাঁন,মুহিবুর রহমান চৌধুরী,এখলাছুর রহমান,মাসুক মিয়া,ছালিক মিয়া,শহিদ মিয়া,মোঃ আরিফ চৌধুরী,গয়াসপুর সমাজকল্যান সংস্থার সভাপতি বেলাল আহমদ চৌধুরীসহ শতাধিক মানুষ। পরে তার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যে মামলা ও ষড়যন্ত্রেও প্রতিবাদে এক প্রতবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন