রাজনগরে শ্রীশ্রী বিষ্ণুপদ ধাম নিয়ে উত্তেজনা
হোসাইন আহমদ॥ রাজনগরে শ্রীশ্রী বিষ্ণুপদ ধাম নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মিহির কান্তি দেব মিন্টু বাদী হয়ে গত সোমবার জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১২ আগষ্ট শ্রীশ্রী বিষ্ণুপদ ধামে নিহির কান্ত দেব মিন্টু’র সভাপতিত্বে সাধারণ সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সদস্যরা ৩ বৎসরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক যে হিসাব দিয়েছেন এটাতে অধিকাংশ লোক অভিযোগ তুলেন। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ঐ দিন দুপুরে প্রসাদ গ্রহণের পর উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হলে সভাপতি বৈঠক মূলতবি ঘোষনা করেন। পরে তারাপাশা বাজারে সভাপতির আত্মীয় পাপলু দত্তকে অতর্কিত হামলা করে গুরুত্বর আহত ও একটি দোকানে ব্যাপক ভাংচুর করে প্রতিপক্ষের লোক। এই ঘটনায় পাপলু দত্ত বাদী হয়ে ১২/০৮/২০১৬ইং তারিখে রাজনগর থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৯)। এ ঘটনাটি মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সৈয়দা সায়রা মহসিনের হস্তেক্ষেপে উনার বাড়িতে সালিশের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে ৩০ হাজার ও দোকানধারকে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঐ সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, শ্রীশ্রী কালীপূজা সম্পূর্ণ হলে সাধারণ সভা ডেকে নতুন কমিটি ঘটন করা হবে।
কিন্তু ২৮ অক্টোবর শুত্রুবার কতিপয় লোক সভাপতি, কার্য-নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ জেলার গন্যমান্য ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে নেপাল চন্দ্র দত্তকে সভাপতি ও রুদ্রজিৎ দে কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহির কান্তু দেব মিন্টু বলেন, ২৮ অক্টোবর যে কমিটি গঠন করা হয়েছে এ বিষয়ে আমাকে অবগত করা হয়নি। সাধারণ সম্পাদক গঠনতন্তকে তোয়াক্কা না করে কতিপয় লোক দিয়ে কমিটি করেছেন।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক রুদ্রজিৎ দে বলেন, কমিটি গঠনের ঐ তারিখ সালিশ বৈঠকে এমপি মহোদায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন