রাজনগরে ১৪ দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৯০টি মামলা সনাক্ত ৯১ জন ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থির মধ্যেও শিথিল লোকডাউন
আউয়াল কালাম বেগ॥ ১৪ দিন লকডাউন চলাকালে রাজনগরে ২৯০টি টি মামলা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসময় বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা। এদিকে রাজনগরে করোনা সনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত ১৪ দিনে এই উপজেলার ৯১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৪ জন। পূর্বের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে কঠোর লকডাউনের শেষ দিন ১৪ জুলাই করোনা সনাক্ত হয়েছেন ২১জন এ পরিস্থিতির মধ্যেও বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পর্যন্ত।
উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানাযায়, গত ১ লা জুলাই থেকে সারাদেশে লকডাউন শুরু হয়। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপজেলায় বিভিন্ন হাট বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পৃথক পৃথক ভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াঙ্কা পাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উর্মি রায়, এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। তারা লকডাউন চলাকালে সরকারের আইন অমান্য কারী ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৮৬০ মোতাবেক এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে কঠোর লকডাউনের ১৪ দিনে ২৯০টি মামলায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ক্ষমতা প্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, রাজনগর থানা পুলিশ ও আনসার সদস্য। এদিকে রাজনগরে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী গত ১৪ দিনে ৯১ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৪ জন এরা হলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলিফ লায়লা। গত ৩ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরিক্ষায় দিলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে পরে তিনি ঢাকা সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর দুই দিন আগে আরেক মহিলা সিলেট সামছউদ্দিন হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। ১০ জুলাই
শনিবার ১০ জুলাই পূর্ব মশরিয়া গ্রামে কয়ছর মিয়া নিজ বাড়িতে মারা যান মৃতের দাফন কাপনের কাজ সম্পন্ন করে উপজেলা টিম প্রধান শেখ তেফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে
সেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকরীম ফিউনারেল ফাউন্ডেশন। ১৪ টেংরা ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের রুমী বেগম (৩৩)। সনাক্তকৃতদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা সাধারণ মানুষ, ডাক্তার সহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন। তারা বাসা বাড়িতে আবার অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে আছেন।
এদিকে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরা সর্দি,কাশি জ্বরসহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ আছেন। সে তুলনায় নমুনা পরিক্ষা করাতে মানুষের আগ্রহ খুব কম। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উর্মি রায় বলেন। পরিস্থিতির ঊর্ধ্বমুখীর মধ্যেও ঈদ ও অর্থনীতির কথা ভেবে সরকার লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। তিনি আরো বলেন এবারের লকডাউনে সরকার যথটা কঠোর অবস্থানে ছিল মাস্ক পরিধান করা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমরাও তথটা কঠোর অবস্থান নিয়ে মাঠে ছিলাম। পাশাপাশি তিনি উপজেলাবাসিকে সচেতন হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার অনুরোধ জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ বর্নালী দাস বলেন রাজনগরে করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি জোরালোভাবে মেনে চলতে হবে বিশেষ করে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন