রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শাহজাহান খানের ইশতেহার ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ শাহজাহান খান নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার ৯ মে দুপুরে শাহজাহান খানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ শাহজাহান খান বলেন, তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে বিশেষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপজেলার গ্রামীণ সকল রাস্তা ইট সলিংকরণের মাধ্যমে কাদামুক্ত করণ। রাজনগর-বালাগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজিকীকরণের লক্ষে খেয়াঘাট কুশিয়ারা নদীর তীরে ফেরি চলাচল ব্যবস্থা চালু করণ। উপজেলাধীন বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়ক বাতি স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন।
শিক্ষার মানোন্নয়নে উপজেলাধীন সকল প্রাথমিক/মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা চালু করণ। ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক সকল বিদ্যালয়ে একটি করে শহিদ মিনার স্থাপন। রাজনগর উপজেলাকে পৌরসভায় উন্নীত করণে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ। সাম্প্রদায়িকতা এবং সকল ধরণের সন্ত্রাস, জিঙ্গিবাদ ও মাদক রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে উপজেলা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন। উপজেলাধীন সকল ইউনিয়নে একটি ক্রীড়া ক্লাব গঠন। উপজেলাধীন সকল ইউনিয়নে ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য একটি করে শেখ রাসেল মিনি গ্রালারি স্থাপন করা হবে। রাজনগর উপজেলায় একটি মিনি স্টেডিয়াম স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলার সকল বয়স্ক/বিধবা/প্রতিবন্ধীদের পর্যাক্রমে শতভাগ সরকারি ভাতার আওতাভূক্ত করা। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে পর্যাক্রমিকভাবে সকল চা শ্রমিককের সরকারি ভাতাভোগীকরণ। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও ন্যায্য অধিকার আদায়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান। চা শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও সুরস্থা কেন্দ্র সচলের মাধ্যমে নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ। উপজেলাধীন হাওর কাউয়াদিঘি, লঙ্গু ছড়া, উদনাছড়া খনন ও কুশিয়ারা নদীর তীর ভাঙ্গন রোধপূর্বক সুষম পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে অনাবাদি জমিকে আবাদিকরণ ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি। লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ। রাজনগর আঞ্চলিক পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বিদ্যুৎ মেগাওয়াট বৃদ্ধিকরণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিসেবা বিস্তৃতকরণ। রাজনগর উপজেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে সোলার প্লান্ট স্থাপন করা। উপজেলাধীন সকল ইউনিয়নে সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে বিদ্যমান কিশোর-কিশোরী ক্লাব সচলকরণ। নারীর ক্ষমতায়নে বেকার নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বনির্ভরশীলকরণ। প্রবাসী সেবা সহজিকীকরণের লক্ষ্যে উপজেলা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুকরণ। ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। উপজেলাধীন সকল জামে মসজিদকে ইসলামী ফাউন্ডেশনের আওতাভুক্তকরণ। উপজেলাধীন সকল মাদ্রাসার উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা বৃদ্ধি। পরিচ্ছন্ন বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে উপজেলাধীন সকল বাজারে পর্যায়ক্রমিকভাবে বর্জ্য খালাস কেন্দ্র (ডাম্পিং সেন্টার) এবং ড্রেন নির্মাণ। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী শিক্ষার্থী রাজনগর উপজেলার কৃতী সন্তান বিপ্লবী লীলা নাগের স্মৃতি ও অবদান স্মরণীয় করে রাখতে লীলানাগ স্মৃতি জাদুঘর স্থাপন করা। উপজেলাধীন সকল গ্রামে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করণের রক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়াটার প্লান্টেশন স্থাপন করা। উপজেলাধীন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু করা। রাজনগর উপজেলায় একটি শেখ রাসেল শিশু উদ্যান স্থাপন করা। নাগরিক সেবা সহজিকীকরণের লক্ষ্যে আমাদের রাজনগর শীর্ষক এ্যাপস তৈরি করা। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রম, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, তিনি কিশোর বয়স থেকে মানুষের সাথে কাজ করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশের মাটিতে অবস্থান করলেও সব সময় এলাকার প্রতি বিশেষ টান ছিল, তাই সময়ের প্রেক্ষাপটে দেশের মাটিতে এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিজের অবস্থানকে সুসংহত করতে এলাকার মানুষের সাথে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছেন । বিগত করোনা, বন্যাসহ প্রতিটি দুর্যোগকালীন মুহুর্তে মানুষের জন্য তিনি কাজ করেছেন এবং নিজের হাত প্রসারিত করেছেন। উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরো বৃহৎ কলেবরে নিয়ে যেতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগনের ভালোবাসা নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তিনি এ উপজেলাকে জনবান্ধব ও আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলবেন।
তিনি রাজনগরবাসীর যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদা পূরনের জন্য দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।
মন্তব্য করুন