রাজনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা

June 15, 2017,

বিশেষ প্রতিনিধি॥ রাজনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছেন আদালত। রাজনগর থানায় আদালতের পওয়ানা এলেও তাকে খুঁজে পাচ্ছেনা পুলিশ।
এদিকে ১৪ জুন বুধবার সকালে উপজেলার ওয়াটসন কমিটির সভায় ভাইস চেয়ারম্যান এলেও পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি। মিমাংসার টাকা ফেরত না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন উত্তরভাগ ইউনিয়নের অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু ও ওই এলাকার নূরুল ইসলাম খেলা মিয়ার মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে শেষ করে দেয়ার জন্য উদ্যোগ নেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের কাছে ৫ লাখ টাকা জমা দেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে টাকা জমা দেয়ার পর তিনি আর বিষয়টি শেষ করেননি। অন্যদিকে আমানতের টাকাও ফেরত দেননি। তার (ভাইস চেয়ারম্যান) কাছে বারবার টাকা চাইলেও তিনি টাকা ফেরতের তারিখ করেও দিতে পারেননি। এমতাবস্থায় অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব ঢাকার ১৮নং আদালতে ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমদসহ ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা (নং- সিআর ১১৪/২০১৭) করেন। আদালত শুনানি শেষে ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করেন।
এছাড়াও অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিবের ভাতিজা আব্দুল খালিকের নামে ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ মৌলভীবাজারের প্রাইম ব্যাংক শাখার একাউন্টের ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। একাউন্টে টাকা না থাকায় ওই চেকও পরে পাস না হয়নি। আব্দুল খালিকও ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে ঢাকার ১২ নং আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা (নং সিআর ৯০৮/২০১৭) করেন। আগামী ১৮ জুন রোববার ওই মামলার শুনানির দিন রয়েছে।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে রাজনগর থানায় গ্রেফতারি পরওয়ানা থাকলেও পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। যদিও তিনি উপজেলা পরিষদে তার কার্যালয়ে এসে অফিস করেন। অভিযোগ রয়েছে পুলিশকে ম্যানেজ করে তিনি গ্রেফতারি পরওয়ানা এড়িয়ে যাচ্ছেন। বুধবার রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা ওয়াটসন কমিটির সভা ছিল। ওই সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা ছিল। বাদীর সঙ্গে আপোষে শেষ হয়ে গেছে বলে জেনেছি।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, ১২ জুনের আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ওসি ওয়ারেন্টের বিষয়টি জানিয়েছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি বলেছি। আজকের (বুধবারের) ওয়াটসন কমিটির সভায় হওয়ার কথা ছিল। ভাইস চেয়ারম্যান আসায় অনেক সদস্য সভা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলে যান।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com