রেদওয়ান খাঁন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নির্বাচিত
কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির তিন বারের সাধারণ সম্পাদক ও তিন বারের সাংগঠনিক সম্পাদক, কারা নির্যাতিত নেতা রেদওয়ান খাঁন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
২ জানুয়ারি রাতে মৌলভীবাজার পৌরসভার হলরুমে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সভায় জেলা শাখার অধিনস্ত ৭ উপজেলা ও ৫ পৌর শাখার আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। জেলা বিএনপির বিশেষ সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি জেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে ঘোষনা করা হবে। এসময় কুলাউড়া বিএনপির ত্যাগী নেতা রেদওয়ান খাঁনকে আহবায়ক হিসেবে ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, মিফতাহ সিদ্দিকী, সদস্য এম নাসের রহমান, হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমানের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত রেদওয়ান খান কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়াও মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও কুলাউড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করেন। কুলাউড়া ছাত্রদলের কিংবদন্তি সাবেক এই ছাত্রনেতা ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে গিয়ে ৯০ এর দশকে মৌলভীবাজার চাঁদনীঘাট এলাকায় জাসদের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন। তাকে মৃত ভেবে জাসদের সন্ত্রাসী বাহিনী মনু ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়। ওইসময় তার শরীরে ৮০টি সেলাই লাগে। সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমান তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলেন। এদিকে প্রায় পাঁচ বছর আগে রেদোয়ান খান মরণব্যাধী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়েও রাজনীতিকে ভুলে যাননি। বিএনপির দলীয় সকল কার্যক্রমে তিনি নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। রেদওয়ান খাঁন জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির পিছনে কাটিয়েছেন। বার বার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সামনে থেকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে জীবনে কিছুই করেননি, সব সময় রাজনীতিকে গুরুত্ব দিতেন।
মন্তব্য করুন