করোনা নিরাময়ে ও প্রতিরোধে কাজ করছে রেভিভিফাই প্রো-ভাইটালিটি এন্টি অক্সিডেন্টস জেল-ফার্মাসিস্ট লিয়াকত হোসেনের দাবি
বিশেষ প্রতিনিধি॥ বিশিষ্ট ফার্মাসিস্ট লিয়াকত হোসেন দাবি করেছেন তার অ্যাডভান্স ফার্মাসিটিক্যাল ইন কর্পোরেশন থেকে গত বছর তৈরিকৃত ‘রেভিভিফাই প্রো-ভাইটালিটি এন্টি অক্সিডেন্টস জেল’ (REVIVIFY PRO-VITALITY ANTIOXIDANTS GEL) এই সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের রোগ নিরাময়ে বিশেষভাবে কাজে লাগছে। পাশাপাশি যাদের এই রোগ এখনও হয়নি তারা খেলেও তাদের শরীরে এমন রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা তৈরি হবে, যাতে করে ওই জেল গ্রহণকারী ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না। ইতোমধ্যে আমেরিকায় তার ও তার অফিসের স্টাফদের পরিচিতিদের মধ্যে করোনাভইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই ওষুধটি গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এরমধ্যে এনওয়াইপিডির সদস্যও রয়েছেন। তিনি আরো জানান, এই ওষুধটি তারা আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে পরিচিত জনকে দেয়া ছাড়াও চীন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাঠাচ্ছেন। ইতোমধ্যে চীনে ৭০ হাজার বক্স ওষুধ প্রেরণ করেছেন। ইংল্যান্ডেও পাঠিয়েছেন। ৬ মে চীনের উদ্দেশ্যে আরো ১০ হাজার বক্স সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে গ্রীন চ্যানেলে পাঠানো হয়েছে।
ফার্মাসিস্ট লিয়াকত হোসেনের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করে তিনি ১৯৭৭ সালে আমেরিকাতে আসেন। এখানে আসার পর ভর্তি হন সেন্ট জনস ইউনিভার্সিটির ফার্মাসিটিক্যাল বিভাগে। সেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিটিক্যাল বিষয়ে লেখাপড়া সম্পন্ন করে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। তার স্ত্রী তাসরীন হোসেনও সেন্ট জনস ইউনিভার্সিটি থেকে ফার্মাসি বিভাগ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। এরপর তারা চিন্তা করেন নিজেরাই একটি ফার্মাসিক্যাল কোম্পানি করবেন। সেই হিসাবে তারা ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিউইয়র্কে ‘অ্যাডভান্স ফার্মাসিটিক্যাল আইএনসি’। তাদের আরো একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ‘অ্যাডভান্স নেচার হেলথ এলএলসি’। দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন।
লিয়াকত হোসেন তার কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী তাসরীন হোসেন প্রেসিডেন্ট। তারা বাস করেন লংআইল্যান্ডে। তাদের কোম্পানিতে ৭০ জন স্টাফ কাজ করেন। কোম্পানির শুরু থেকে এই পর্যন্ত তারা প্রায় ৭৫টি ওষুধ তৈরি করেছেন। এই সব ওষুধ ওভার দ্য কাউন্টার বিক্রি হয় এবং ক্রয় করার জন্য চিকিৎসকের কোন প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না। লিয়াকত হোসেন ১২ বছর যাবত পারকিনসন রোগে আক্রান্ত। তারপরও তিনি একদিনের জন্য মনোবল হারাননি। অদ্যম ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল নিয়ে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বারো বছর আগে যখন পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হন তখন তিনি এটাকে রোগ হয়েছে বলেই ধরে নেন। তবে তিন বছর আগে তিনি মনে করেন মানুষের শরীরের সেলগুলো নিয়ে লেখাপড়া করবেন। সেই চিন্তা থেকে নিয়ে পড়ালেখা শুরু করেন ও গবেষণা করেন মানুষের শরীরের সেলগুলো কেন মরে যায়, কেন কাজ করে না বা কেন দূর্বল হয়ে যায়? আরো কাজ করেন কিভাবে মানুষের শরীরের এই সেলগুলোকে সচল করা যায়। শরীরে এনার্জি তৈরি করা যায় শরীরের এনার্জি, স্টেনথ বাড়ানো যায়। ওয়েলবিং থাকা যায়।
তিনি গবেষণা করতে করতে ও পড়তে পড়তে আবিস্কার করেন এমন একটি ওষুধের ফর্মুলা যেটি মানুষের শরীরে প্রায় সব ধরণের ভাইরাস প্রতিরোধ করবে। কোন ভাইরাস মানুষকে আক্রান্ত করতে পারবে না ও শরীরে এনার্জি তৈরি করবে। সেই সঙ্গে মানুষ ভাল থাকবে। সেই অনুযায়ী তিনি তার ফার্মাসিক্যালসে তৈরি করেন ‘রেভিভিফাই প্রো-ভাইটালিটি এন্টি অক্সিডেন্টস জেল’। গত বছর এপ্রিল মাসে এটি তার কোম্পানি প্রস্তুত করে বাজারে আনে। এটি অনলাইনে বিক্রি হয় আর বিভিন্ন ফার্মাসিতে পাওয়া যায়। তবে তারা রিটেইলার না হওয়ার কারণে ওইভাবে সরাসরি বিক্রিতে যাননি।
লিয়াকত হোসেন বলেন, আমরা ওষুধটি বাজারে আনার পর সেটি চীনে রপ্তানি করি। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর আমার এক চাইনিজ বন্ধু আছে, সে আমাকে বলে তার দেশের জন্য ওষুধটি নিবে। আমি গত বছর থেকেই চীনে এই ওষুধটি পাঠানো শুরু করি। এই পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার প্যাকেট ওষুধ চীনে পাঠিয়েছি। চীনে এই ওষুধটি মানুষ গত বছর থেকে খাওয়া শুরু করে। চীনে যখন মহামারি করোনাভাইরাস হয় তখন আমার বন্ধু আমাকে জানালো যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অনেককেই এই ওষুধটি খাওয়ানো হয়েছে। এটা খাওয়ানোর পর তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তিনি বলেন, আবার এমনও হয়েছে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা হাসাপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আমাদের এই ওষুধটি সেখানে ভাল কাজ করেছে। আমার ওই বন্ধু আরো জানায় তারা সেখানে ২০০০ রোগীর উপর স্ট্যাডি করেছে। এছাড়াও ৪/৫টি হাসপাতালে এটি রোগীদের উপরও স্ট্যাডি করা হয়েছে। সেটা করার পর তারা সফল হয়েছে। এই সফলতা আসার পর ওই বন্ধু আমাকে জানিয়েছে ‘রেভিভিফাই প্রো-ভাইটালিটি এন্টি অক্সিডেন্টস জেল’সেখানে তারা ৫০০ জন রোগীর উপর স্ট্যাডি করেছে, যাদের করোনার প্রাথমিক দিকে ছিল। তারা ওষুধটি গ্রহণ করার পর করোনা থেকে রিকভারি করেছে। তবে যাদের একুট বেশি হয়েছিল তাদের হাসপাতালে যেতে হয়েছে , তবে তারা একটু সময় নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
জনাব লিয়াকত বলেন, আমি নিজে বারো বছর ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছি। আমি প্রতিদিন একটি করে এই ওষুধটি খাই। এই ওষুধ খাওয়ার পর আমি ভাল থাকি। স্টেমিনা পাই। কাজ করতে কোন সমস্যা হয় না। তিনি জানান, এই ওষুধের বিস্তারিত জানা যাবে িি.িৎবারারভুভড়ৎষরভব.পড়স এ।
তিনি বলেন, আমি চীন থেকে এখনও অফিসিয়াল রিপোর্ট হাতে পাইনি। তবে শিগগিরই পাবো। তবে আমার বন্ধু এই ওষুধের সফলতা সম্পর্কে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি কভিড-১৯ এর সময়ও খোলা আছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোন প্রয়োজন পড়েনি। আমাদের ওখানে ৭০ জন স্টাফ কাজ করেন। তাদের মধ্যে ৬৫ জন ‘রেভিভিফাই প্রো-ভাইটালিটি এন্টি অক্সিডেন্টস জেল’ওষুধটি গ্রহণ করেন। যে ৬৫ জন এই ওষুধটি খেয়েছেন তারা কেউ আক্রান্ত হননি করোনায়। কিন্তু পাঁচজন এই ওষুধটি গ্রহণ করেননি। দেখা গেছে ওই পাঁচজনই করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও এখন তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, আমার অফিসের বাইরেও আমাদের ওষুধ কোয়ারেইনটাইনে থাকা রোগীদের করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করেছে। আসলে এই ওষুধটি গ্রহণ করার ফলে শরীরের এমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় যার কারণে শরীর যে কোন ধরণের ভাইরাস আসুক না কেন বা আক্রান্ত করার চেষ্টা করুক না কেন এটা সফল করতে পারে না।
জনাব লিয়াকত হোসেন দাবি করেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেকেরই পরিবারের সদস্য, তার আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের লোকজন আক্রান্ত হয়েছেন। তারা তাদের ওই সব পরিচিতজন ও আত্মীয় স্বজনের জন্য ওষুধটি নিয়েছেন। তারা গ্রহণ করেছেন ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি যখন এই ওষুধটি তৈরি করি তখন কিন্তু এটাকে করোনাভাইরাসের কথা চিন্তা করে কিংবা এটাকে সামনে রেখে তৈরি করা হয়নি। এটা করা হয়েছিল মূলত এনার্জি, সেনথ ও ওয়েলবিং থাকার জন্য। সেই হিসাবে একটি কাজে লেগেছে। এখন করোনায় এটি কাজ করছে।
এই ওষুধটি এতটাই কার্যকর হলে এটা আমেরিকাতে এখনও কেন সেইভাবে প্রচার প্রচারণা পায়নি ও মানুষ জানতে পারেনি এই প্রশ্নের জবাবে জনাব লিয়াকত বলেন, আমি সব সময় কাজ করে গেছি। আমি কখনো জনপ্রিয়তার পেছনে ছুটিনি। নিরবেই সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। আমি ওষুধটি তৈরি করার পর এটা আমাদের অন্যান্য প্রোডাক্টের মতো করে অনলাইনে বাজারজাত করেছি। আমাদের এই ওষুধটি কেনার জন্য অনলাইনে সাইট রয়েছে। সেখানে গিয়ে যে কেউ ক্রেডিট কার্ডে পে করে কিনতে পারবেন। এক এক বক্সে থাকে ৩০টি করে ওষুধ। এর মূল্য ৯৫-১০০ ডলার। এটা যারা খাবেন তারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন এটা খেলে মানুষের শীরিরে ইমিউন সিস্টেম এত ভাল হয় মানুষকে দূর্বল করতে পারে না। ফলে অনেক রোগ হয় না। ডায়বেটিস, পারকিনসন, হার্টের সমস্যা, এসওডিসহ বিভিন্ন রোগেও এটা কাজ করে।
তিনি বলেন, করোনা রোগে আক্রান্ত প্রাথমিক পর্যায়ে কেউ এই ওষুধটি নিলে তিনি দুইদিন ভাল হয়ে যাবেন। আশা করা যায়। তবে ভাল হলেও তিনি ১৪দিন কোয়ারেইনটাইনে থাকবেন। কিন্তু তাকে হাসপাতালে যেতে হবে না। যার অবস্থা খারাপ হবে তিনি হাসাপতালে গেলেও এই ওষুধটি কাজ করে। তবে যারা ভেন্টিলেশনে চলে যান তাদের শরীরে আসলে তখন কোন ওষুধই তেমনভাবে কাজ করে না।
তিনি বলেন, আমার ফিলাডেলফিয়ার বন্ধু প্রফেসর ও ইউরোলজিস্ট ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক এই ওষুধটি যাতে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সেই ব্যাপারে কাজ করছেন। তিনি যেভাবে কাজ করছেন আশা করা যায় তিনি সফল হবেন।
তিনি বলেন, আমেরিকাতে এই ওষুধটি তিনি কতখানি করোনার জন্য পৌঁছাতে পারবেন ও করোনা রোগীর জন্য চিকিৎসকরা হাসাপাতালে ব্যবহার করার জন্য প্রেসক্রাইব করবেন সেটা বলা যাচ্ছে না। কারণ আমেরিকাতে কোন ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে হলে এই জন্য অবশ্যই ওই ওষুধের উপর স্ট্যাডি থাকতে হবে। স্ট্যাডি ছাড়া তারা এটি করে না। কিন্তু বতর্মান পরিস্থিতিতে সেটা নিয়ে স্ট্যাডি করা হবে কিনা এটা বলতে পারছি না। তবে করোনার হওয়ার পর আমরা এই ওষুধের একটি স্যাম্পল আমাদের নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্র্রু কুমোর ঠিকানাতে মেইলযোগে পাঠিয়েছি গত ৪ এপ্রিল । তিনি সেটা পেয়েছেন। তাবে এই ব্যাপারে এখনও কোন রেন্সপন্স করেননি। এটা ঠিক এই দেশে কেউ কোন কিছুর স্যাম্পল পাঠালেই সেটা গ্রহণ করা হবে বা ব্যবহার করা হবে বিষয়টি এমন নয়। এখানে স্ট্যাডিটা বড় দরকার। সেই হিসাবে আমরা অপেক্ষা করছি যদি তিনি কোন উদ্যোগ নেন। তারা যদি মনে করেন এটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবেন, সেটা দেখতে পারেন।
সিডিসি ও এফডিএ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা এমন একে প্রশ্নের জবাবে জনাব লিয়াকত বলেন, এখনও সেই ধরণের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আসলে আমাদের এই ধরণের কোন পরিকল্পনা ছিল না। আমরা আমাদের অন্যান্য প্রোডাক্টের মতো একটি প্রোডাক্ট হিসাবে তৈরি কেরছি। ওভার দ্য কাউন্টার এটা বিক্রি হয়। এটা যে করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহারে সাফল্য আসবে সেটা এখন প্রমানিত হচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে কি করা যায় সেটা আমার বন্ধু ডাঃ সাদেক চিন্তা ভাবনা করছেন। তিনি এই দেশে এখনই কিছু করতে না পারলেও বাংলাদেশে কিছু করতে পারবেন বলে আশাবাদী। বাংলাদেশে আমরা এই ওষুধটি দিতে পারি। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন তাদের কাজে লাগবে।
আপনি বাংলাদেশ সরকারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা করিনি। কারণ বাংলাদেশে আমরা এই ওষুধ পাঠাতে চাইলে এটা তারা ড্রাগের পর্যায়ে ফেলবে। এই দেশে মাল্টি ভিটামিন যেমন বাজারে অ্যাভেলেবল। বাংলাদেশে এই রকম না। সেখানে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে ড্রাগ এ্যাডমিন্টিস্ট্রেশন। সেই হিসাবে আমরা এটা দিতে গেলে ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের মাধ্যমে যেতে হবে। সেটা গেলে আপনারাতো জানেন কত আমলাতান্ত্রিক জাটিলতা আছে। বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কেউ কিংবা কোন মন্ত্রী বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিংবা কেউ এই ব্যাপারে আগ্রহী হলে এটা দেশে পাঠানো সম্ভব হতে পারে। বাংলাদেশ এই ওষুধ নিতে চাইলে আমরা সরবরাহ করতে পারবো। তিনি বলেন, এই ওষুধটি খেলে কোন ক্ষতি হবে না, বরং উপকার হবে। তাই যে কেউ এটা খেতে পারবেন। আমি প্রতিদিন একটা করে খাই। আমার স্ত্রী সপ্তাহে দুটি খান। এটা আসলে নির্ভর করে কার শরীরে কত খানি স্টেমেনা দরকার এর উপর।
তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশে অনেকের শ্বেত রোগ হয়। সেই রোগের কোন ওষুধ নেই। কিন্তু এই দেশের এমন মানুষ আছেন যারা এই ওষুধ খেয়ে শ্বেত রোগেও সুফল পেয়েছেন। তিনি আবার আমাদের ওয়েব সাইটে কমেন্টও করেছেন।
অ্যাডভান্সের বিজনেস ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার ও অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজার সৈয়দ আশরাফ হোসেন বলেন, আসলে আমি এই কোম্পানিতে আছি অনেক বছর। ১৯৮৭ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা হয়। আমরা ৭০ জন কাজ করি। এরমধ্যে ৬৫ জন ‘রেভিভিফাই প্রো-ভাইটালিটি এন্টি অক্সিডেন্টস জেল’ খেয়েছি। আমরা কেউ করোনায় আক্রান্ত হইনি। আমাদের কোম্পানির পাঁচজন খাননি। দেখা গেছে ওই পাঁচজনই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এটা একটি সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত ও নিজস্ব ঘরেই এটা হয়েছে।
আমাদের ফ্যাক্টরির একজন ম্যানেজারের মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি তার মেয়ের জন্য নেন। তিনি ওষুধ খাওয়ার পর ভাল হয়ে গেছেন। আমাদের অফিসের যারা ও তাদের পরিবারের যারাই এই ওষুধ খেয়েছেন তাদের কারো করোনা ভাইরাস হয়নি। এটা একটি সুসংবাদ আমাদের জন্য। যেজন্য আমরা অফিস চালু রাখতে পেরেছি। স্বাভাবিক কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই রকম উদাহরণ আরও আছে। ব্রঙ্কসে থাকেন এনওয়াইপডির একজন সদস্য। সে আমার বন্ধু। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। আমাকে জানানোর পর আমি তার জন্য ওষুধ পাঠাই। তিনি ওই ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে উঠেন। তিনি একাই খাননি। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও খাইয়েছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, এই ওষুধের সাফল্য আশাব্যঞ্জক।
তিনি বলেন, আমার আম্মা ২০১৯ সালে আমেরিকাতে আসেন। এখানে আসার পর তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার প্রাথমিক চিকিৎসক বলেছিলেন তার কানের নিচের সেল গুলো কাজ করছে না। এই জন্য কার্ডিওভাস্কেলার ডাক্তার দেখাতে হবে। কিন্তু আমি ওই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহজে পাচ্ছিলাম না। প্রায় দুই মাস লেগে গিয়েছিল এই সময়ের মধ্যে আমি আমার আম্মাকে ‘রেভিভিফাই প্রো-ভাইটালিটি এন্টি অক্সিডেন্টস জেল’ ওষুধটি খাওয়াচ্ছিলাম। আল্লাহর রহমতে আমার আম্মা ভাল বোধ করছিলেন। পরে যখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের আপয়েন্টমেন্ট পেলাম ও তাকে নিয়ে গেলাম তখন ডাক্তার বললেন, আম্মার সেলগুলোতে ব্লক নেই। বিষয়টি আমার স্যার (লিয়াকত হোসেন)কে জানালাম তিনি বললেন, ‘রেভিভিফাই প্রো-ভাইটালিটি এন্টি অক্সিডেন্টস জেল’ গ্রহণের ফলে তার সেলগুলোতে যে ব্লক ছিল তা খুলে গেছে। আসলে এটাও একটি উদাহরণ।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে আমাদের কোম্পানি চালু হওয়ার পর এই পর্যন্ত ৭৫টি প্রোডাক্ট তৈরি হয়েছে। সব প্রোডাক্টের মাধ্যমেই অনেকেই সুফল পেয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় পাঁচ বছর আগে থেকে স্পেশালাইড ওষুধগুলো তৈরি করা শুরু হয়। এগুলোর সাফল্য বেশ ভাল। তিনি বলেন, আমাদের এই রকম আরো অনেক সাফল্য আছে।
ফার্মাসিস্ট লিয়াকত হোসেন বলেন, আমরা সব সময় ফার্মাসিটিক্যালসেই ছিলাম। রিটেইলে আমরা কখনো যাইনি। তিনি বলেন, আমি একটি ফার্মাসিটিক্যাল করার স্বপ্ন দেখতাম। আমার স্ত্রীও দেখতেন। দুইজনের স্বপ্নই আমরা পূরণ করতে পেরেছি। আসলে আমরা কাজই করেছি। কখনো ওইভাবে প্রচারণা চাইনি। জনপ্রিয়তার প্রতি কোনদিন নেশা ছিল না। ভেবেছি মানুষের উপকারে আসে এমন সব ওষুধ তৈরি করতে। সেটা করতে পেরেছি। কিন্তু এখন কভিড-১৯ এমন একটা পর্যায়ে চলে আসছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে। তাই আর চুপ করে বসে থাকতে পারছি না।
যেহেতু আমাদের ওষুধের সাফল্য আছে। তাই মনে করি এই ওষুধটি সম্পর্কে সবার জানা দরকার। তারা জানলে ও গ্রহণ করলে সুবিধা পাবেন। যেহেতু এট প্রমাণ হয়েছে যে, এটাই খেলে করোনা থেকে দুই দিনে মুক্তি পাওয়া যায়। তাহলে কেন এটা আমাদের কম্যুনিটির মানুষ জানবে না ও সুফল পাবে না। এই ওষুধ যদি মানুষের প্রাণ বাচাঁতে পারে তাহলেই আমাদের স্বার্থকতা আসবে। এই কারণে আমরা মনে করছি এটা সবার জানা দরকার ও এই ওষুধটি এই দেশে স্ট্যাডি করার পর যদি ব্যবহার শুরু হয় ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য দিতে পারি তাহলে ভাল হবে।
যারা এখনও আক্রান্ত হননি তারা খেলে তাদের করোনা হবে না। এটা কত বড় সুখবর। আর যারা প্রাথমকিভাবে আক্রান্ত তারা সুস্থ হবেন দুইদিনের মধ্যেই। গুরুতরাও সুস্থ হবেন একটু সময় লাগবে। যেখানে পুরো দুনিয়ার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত। এটা মানুষকে আতঙ্ক থেকেও মুক্তি দিবে। শরীরে স্টেমিনা তৈরি করবে। আর যাদের ডায়বেটিস, ক্যানসার, হার্টের সমস্যা, পারকিনসনসহ বিভিন্ন রোগ রয়েছে তারা গেলেও তাদের সেলগুলো সচল হবে।
সবশেষ বলে রাখি সম্প্রতি টেম্পা পুলিশ ডিপাটমেন্টের কাছে ‘রেভিভিফাই প্রো-ভাইটালিটি এন্টি অক্সিডেন্টস জেল’ ওষুধ ৫০ হাজার পাঠানো হয়েছে। তারাও সুফল পাচ্ছেন।
আমাদের তৈরিকৃত রেভিভিফাই প্রো-ভিটালিটি এন্টি অক্সিডেন্ট ফ্রুট ব্লেন্ড জেল ও রেভিভিফাই প্রো-এনার্জি পাউডার স্টিক মানুষ খেয়ে উপকার পাচ্ছে, কাজে লাগছে এটাই সবার জন্য সুখবর। আমাদের কম্যুনিটির যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা প্রয়োজন মনে করলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ওষুধগুলো আমাদের কাছে মজুদ আছে। যে কেউ অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ২-৩ দিনের মধ্যে হাতে পেতে পারেন। -তথ্য ও সূত্র-ঠিকানা (যুক্তরাষ্ট্র)
মন্তব্য করুন