লন্ডন প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা সিতাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে কুলাউড়ায় সংবাদ সম্মেলনে ভাতিজার যত অভিযোগ
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার দাপটের কাছে অসহায় তারই আপন ভাতিজা। স্ত্রী আর ২ সন্তান নিয়ে জীবনের অসহায় ভাতিজা রুবেল আহমদ কুলাউড়ায় ৩ অক্টোবর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। পরিবার এবং নিজের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন আতঙ্কে। লিখিত বক্তব্যে রুবেল আহমদ অভিযোগ করেন, বরমচাল ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিতাব মিয়া চৌধুরী তার চাচা। মৃত রিয়াসত উল্লাহ তার দাদা। এই সিতাব মিয়া চৌধুরীর বড় দু’ভাই আপ্তাব মিয়া ও মাতাব মিয়া মারা গেছেন। তিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রবাসী নেতা ও অর্থশালী হওয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি একাই জোরপূর্বক ভোগদখল করছেন। তিনি ৬ মাসে একবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন এবং পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে বিলাসিতা করে ফিরে যান। ক্ষমতার আরেক উৎস তার মামাতো ভাই কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাজাহান। এই দুই ক্ষমতাসীন দলের এলাকায় রয়েছে নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী। রুবেল আহমদ জানান, সম্পত্তি নিয়ে চাচার কাছে কোন ধরনের দাবি জানালেই নেমে আসে নির্যাতনের স্টিম রোলার। এনিয়ে চাচার সাথে পূর্ববিরোধ ও মামলা চলছে। রুবেল জানান,
২৮ সেপ্টেম্বর সকালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চক্রান্ত করে চাচা সিতাব মিয়া চৌধুরী আমাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বেঁধে মারধর করেন। একপর্যায়ে টেলিফোনে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাজাহানকে ডেকে আনেন। চেয়ারম্যান গ্রাম পুুলিশসহ এসে আমাকে বেঁধে ইউনিয়নে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর মারপিট শুরু করেন চেয়ারম্যানের সহযোগিরা। এক পর্যায়ে সাদা স্টাম্পে আমার মুচলেকা (বন্ডসই) নেন। এঘটনায় রুবেল হোসেন কুলাউড়া থানায় ৩০ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সম্পত্তির জন্য তার চাচা সিতাব মিয়া চৌধুরী তাকে চিরদিনের জন্য দুনিয়া থেকে তুলে ফেলার হুমকি দেন। এতে রুবেল মিয়া, তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম ও ২ শিশু সন্তান নিয়ে রয়েছেন উদ্বেগ উৎকন্ঠায়। একা বাড়িতে থাকেন বলে যেকোন সময় তাদের স্বপরিবারে মেরে ফেলার আশঙ্কা করছেন।
মন্তব্য করুন