লাউয়াছড়া উদ্যানের ভিতরে রেললাইনের দু’পাশে জমির বন্দোবস্ত বাতিল করেছে রেল বিভাগ

August 23, 2016,

সাইফুল ইসলাম॥ মৌলভীবাজারে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের রেললাইনের দু’পাশে ২৯৭/১ থেকে ২৯৮/১ রেল কিলোমিটারে জমির বন্দোবস্ত বাতিল করেছে রেলওয়ে এস্টেট বিভাগ।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো ২২ আগষ্ট সোমবার বিকেলে বন্দোবস্ত বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এমনকি জাতীয় উদ্যান এলাকায় ভবিষ্যতে জমির বন্দোবস্ত না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে এস্টেট বিভাগ।
বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ জানা গেছে, সম্প্রতি রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় রেললাইনের দু’পাশের জমিতে কতিপয় লোকজনকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। তাঁরা জমির গাছপালা-ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে চাষাবাদ শুর” করেন। এই বন্দোবস্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, রেললাইনের উভয় পাশের জমি বন্দোবস্ত প্রদান করলে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান: হুমকীর মূখে’ একাধিক সংবাদ ছাপা হয়।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি বিভাগ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় চাষের জন্য দেওয়া জমির বন্দোবস্ত বাতিল করেছে। এমনকি ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় জমির বন্দোবস্ত না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ১৮ আগষ্ট আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এবং রেল কর্তৃপক্ষ ওই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলওয়ে বন্দোবস্ত বাতিলের। ভবিষ্যতেও আর বন্দোবস্ত দেবে না।
রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, বন ও রেল মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর সপ্তাহ আগে বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে। আর এসব জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হবে না। লোকজন বন্দোবস্ত নিয়ে বন কেটে ফলজচাষ শুর” করেছিল। পশুপাখির আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জমিটি জাতীয় উদ্যানের ভিতরে পড়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com