“লাগরহো চয়ন রাম ক্কাহার মেরে লাল-মেরে পিয়ার”
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ শুরুতেই শিরোনামের জন্য ভারতীয় চলচ্চিত্র “লাগরহো মুন্না ভাই”-কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সঞ্জয় দত্ত অভিনিত র্দক-সমালোচক নন্দিত চলচ্চিত্র “লাগরহো মুন্না ভাইর” নাম অনুকরনে রচনার শিরোনাম নির্ধারন করেছি। চলচ্চিত্র শিল্পের বোদ্ধা আলোচক সমালোচক মাত্রই জানেন-মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস. ছায়াছবিটি দারুণ দর্শক প্রিয়তা পেলে মুন্না ভাইর নামাকরনে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয়। লাগরহো মুন্না ভাই ও জন প্রিয়তা পায়।
বিদগ্ধ পাঠক-পাঠিকার কাছেও ক্ষমা প্রার্থী রচনার শিরোনাম আমাদের প্রিয়ভাষা বাংলায় না দেয়ার জন্য। আমি নিজে বাংলা ভাষাও সাহিত্যের একজন সামান্য সেবক খেদমতগার ও কর্মি। বাল্যকালে বাল্য শিক্ষা শেষে যৌবনে কর্মজীবনে প্রবেশ করে ব্যবহারিক বাংলা ছাড়াও বাংলা ভাষাও সাহিত্যের চর্চা, বিকাশ, ব্যাপ্তিও বিস্তৃতিতে কাজ করছি। বিগত পাঁচ দশকাধিক কাল যাবত সাংবাদিকতা-সম্পাদনা-প্রকাশনায় আছি। বাংলা ভাষায় স্থানীয় ও জাতীয় পত্র পত্রিকায় কলাম লিখছি। গ্রন্থ ও বেরিয়েছে ডজনের উপরে। বিগত একুশের বই মেলায়ও বেরিয়েছে বাংলাও বাঙ্গাঁলির ইতিহাস সম্বলিত গবেষনা গ্রন্থ-সুবে বাংলার সিপাহসালার বেঈমান মির জাফর আলী খান “আর নয় পলাশী-আর নয় মিরজাফর”। আমার ভাষা ও কৃষ্টি, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতি পূর্ণ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে একটি সঙ্গঁত কারনে হিন্দী ভাষায় এ রচনার শিরোনাম। এই কলামও রচনার শিরোনাম ও প্রতিপাদ্য একজন দরিদ্র চা-শ্রমিক এর সন্তান আমার একান্তই প্রিয় ও ¯েœহ ভাজন চয়ন রাম ক্কাহার- এর লালিত স্বপ্নও জীবন দর্শন। উচ্চ শিক্ষা নেবার উচ্চাশায় উচ্চাকাংখী চয়ন রাম ক্কাহার এর
কথাও কাহিনী, তাঁর আগামী জীবনের আশাও আকাংখা দেশবাসী সম্মুখে উপস্থাপন এবং তাকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা দোয়া-আর্শিবাদ জানানোই এরচনার মূল উদ্দেশ্য। ষাটের কর্মি আমি। সত্তোর পেরিয়ে এখন পড়ন্ত বেলা-জীবন সায়াহ্ণে। আমার প্রিয় পাঠকও শুভাকাংখীদের দাবী জীবনীও স্মৃতি কথা লেখা। আমাদের প্রাত্যহিক আট পৌরে জীবনের অলিখিত-অনালোচিত কথাও কাহিনী তুলে ধরা। সেই আলোকে আমি আমার সাম্প্রতিক রচনায় সেই সব বিষয়ই আলোকপাত করি। সমাজের অনগ্রসর-অশিক্ষিত-অনভিজাত জনগোষ্ঠীর কথাও কাহিনী বলার চেষ্টা করি। ইতি পূর্বে আমাদের পৌর এলাকার পরিচ্ছন্ন কর্মিকন্যা-মালা-র সুখ-দূঃখ, আনন্দ, বেদনার কথাও কাহিনী বলেছিলাম “মোহন মঞ্জু কি লাড়কি মালা খুশরহো সালামত রহো মেরে লাল” রচনায়। লেখাটি আমার একটি প্রবন্ধ সংকলনে স্থান পেয়ে দারুন পাঠক প্রিয়তা পেয়ে ছিল। প্রসঙ্গঁত উল্লেখ্য ইতিপূর্বে কিছু কাল শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গেঁ সম্পৃক্ত থাকার কারনে আমাকে চা-শ্রমিক সহ সব শ্রেণীর শ্রমিক সমাজের সাথে মিশতে হয়েছিল, যৎ কিঞ্ছিত উর্দু-হিন্দী ভাষায় কথা বলতে হয়েছিল। পলাশীর বিপর্য্যয়, বাংলার নবাবের পরাজয়, পতন ও হত্যা, দেশীয় বেঈমানি ও বিশ্বাস ঘাতকতায় একদিন-ইংরেজ বনিকের মানদন্ড দেখা দেয় রাজ দন্ড রূপে পোহালে শর্বরী। বৃটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী সুবে বাংলার রাজ্য শাসন কবজা করে ভারত বর্ষে মজাছে বানিজ্য করার কু-মতলবে এদেশে চা-বাগান প্রতিষ্ঠা করে। অষ্টাদশ শতাদীতে সিলেটের মালনি ছড়া চা- বাগান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে চা-শিল্পের সূচনা। বাংলা ভাষী চা শ্রমিকের কাজ জানতেন না বলে বৃটিশ কোম্পানী মাদ্রাজ, বিহার, উড়িষ্যা, তামিল নাড়– থেকে এ দেশে অবাঙ্গাঁলী চা-শ্রমিক নিয়ে আসে।
শতাধিক চা বাগান অধ্যুসিত সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায়ও চা বাগানের সংখ্যা কম নয়। উষ্ণ পানীয় হিসাবে বিশ্বব্যাপী চা খুবই জন প্রিয়। বাংলাদেশের চা শিল্প দেশীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চা শিল্পের বিকাশও উন্নয়নে চা- শ্রমিকদের সকাল-সন্ধ্যা হাড় ভাঙ্গাঁ খাঠুনি ও পরিশ্রম নিঃসন্দেহেই প্রশংসনীয়। সাম্প্রতিক কালে চা বাগান সমূহের অন্ধকার ভূবন ও জীবনে শিক্ষা দীক্ষার প্রসার হচ্ছে- আলোকিত ইচ্ছে। এখন চা শ্রমিকদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার এর মত সম্মানও গৌরবজনক পেশায় অবদান রাখতে দেখা যায়, যদিও চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর তুলনায় সেসংখ্যা খুবই কম। কারণ দরিদ্র চা শ্রমিক সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার উপযুক্ত ও ব্যাপক সুযোগ সিমাবদ্ধ- সংকুচিত। এত সব সংকট ও সীমাবদ্ধতার মাঝে ও সুযোগ পেলে যে একজন অবহেলিত দরিদ্র চা-শ্রমিক সন্তান ও মেধাও মননে চমৎকার ফল প্রদর্শন করতে পারেন তারই জ্বলন্ত উদাহরণ শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন মির্জাপুর চা বাগানের এক দরিদ্র চা-শ্রমিকের সন্তান চয়ন রাম ক্কাহার।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল-নাজিরাবাদ ইউনিয়ন, কাগাবালা ইউনিয়ন এলাকার উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন কলেজ ছিল না। সেকালে রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থাও ছিল অনুন্নত। ফলত: পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র কৃষক শ্রমিকের সন্তানদের পক্ষে কলেজ শিক্ষার সুযোগ ছিল না। এলাকারও জেলার উচ্চ শিক্ষার উৎকর্ষতাও উন্নয়নে কোন প্রাপ্তি যোগের প্রত্যাশা না করে এলাকাও এ জেলার কৃতি সন্তান প্রবাসী ব্যবসায়ী শিক্ষানুরাগী ও রাজনীতিবিদ এম.এ.রহিম সিআইপি পৈত্রিক ভূমিতে নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষানুরাগী পিতা আলহাজ্ব মকলিছুর রহমানের নামে (বর্তমানে পরলোকে মহান মালিক তাঁর বেহেশত নসীব করুন) প্রতিষ্ঠা করেন আলহাজ্ব মকলিছুর রহমান কলেজ। মাত্র একদশকের এই কলেজ উন্নত ফালফল সহ জেলার একটি আদর্শ ডিগ্রী কলেজ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। শিক্ষানুরাগী এম.এ.রহিম সিআইপি বৃটেনে কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়ে সেখানেও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সমগ্র বৃটেন ব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন। আলহাজ্ব মকলিছুর রহমান কলেজ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষানুরাগি এম.এ.রহিম সিআইপি এবং তদীয় শিক্ষানুরাগী ভ্রাতা- আজীবন ও দাতা সদস্য মুজিবুর রহমান মুজিবের কোন
বানিজ্যিক উদ্দেশ্য নেই- এখানে কোন ছাত্র বেতন নেই দূরবর্তী স্থানের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কলেজের নিজস্ব যানবাহন রয়েছে। সম্পূর্ণ নিঃখরছায় শিক্ষা লাভের সুযোগ শুণে কলেজের প্রথম ব্যাচ-ভর্ত্তি হন মির্জাপুর চা বাগানের এক দরিদ্র চা শ্রমিকপুত্র চয়ন রাম ক্কাহার। কলেজ প্রতিষ্ঠাতা এম.এ.রহিম সিআইপি আমাকে রাজনৈতিক মত পার্থক্যের মাঝেও অগ্রজের মত ভক্তিশ্রদ্ধা করেন, কলেজ প্রতিষ্ঠাকাল অবস্থায়ই আমি শিক্ষানুরাগী সদস্য হিসাবে গভার্নিং বডিতে ছিলাম-এখনও উপদেষ্টা হিসাবে আছি। প্রসঙ্গঁত উল্লেখ্য একজন শিক্ষানুরাগি হিসাবে আমি যৌবনকালে স্কুল কলেজ কমিটিতে ছিলাম। অবৈতনিক ভাবে অধ্যাপনা শিক্ষকতাও করেছি। কোমলমতি-নিষ্পাপ কিশোর-কিশোরী-আগামী দিনে দেশও জাতির ভবিষ্যত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেঁ মিশতে তাদের সঙ্গেঁ কথা বলতে তাদের চিন্তা চেতনার সঙ্গেঁ শেয়ার করতে আমার খুবই ভালো লাগে। জীবনের শেষ প্রান্তে এই পড়ন্ত বেলায় জীবন সায়াহ্ণে এসে বাল্য-কিশোরের মধুময়-স্মৃতিময় উজ্জল দিন গুলির কথা-স্মরণ করি-আবেগ আপ্লুত হই। আলহাজ্ব মকলিছুর রহমান কলেজ এর শিক্ষা পদ্ধতি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র-ব্যতিক্রমী। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রিন্সিপাল প্রফেসর ননী গোপাল রায় থেকে বর্তমান প্রিন্সিপাল প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক সেই স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র বজায় রাখছেন। অত্যন্ত যতœ সহকারে কোচিং এর মত করে এখানে শিক্ষা দান করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় বর্তমানে আমার কনিষ্ট কলিগ, এডভোকেট রাধা পদ দেব সজল এর সেরেস্থার বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট জলি রানী দাস উক্ত কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। আমার ও অনিয়মিত যাতায়াত ছিল। এ সময় কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র চয়ন রাম ক্কাহার এর সঙ্গেঁ আমার পরিচয়। তাকে পরম ¯েœহে কাছে টেনে নিয়ে আমার স্বাভাবিক নিয়মে জানতে চেয়ে ছিলাম-“তোমারা জিন্দেগীকা মকসদ কিয়া হ্যায়-জীবনে কি হতে চাও? একশত তিন টাকা দৈনিক মজুরি প্রাপ্ত চা শ্রমিক সন্তান চয়ন-ক্কাহার বলেছিল সে চা বাগানের ম্যানেজার হতে চায়। একজন চা শ্রমিক এর কাছে চা বাগানই তাঁর স্বপ্নের ভূবন-তাঁর দিবারাত্রির মহাকাব্য। চা বাগানের ম্যানেজার-বড় সাহেব-বড় বাবুদের শান শওকত মান মর্যাদা ক্ষমতা দৃষ্টে একজন চা শ্রমিক সন্তান মনে করে থাকেন বাগানের বড় বাবুই সর্বোময় ক্ষমতা ও সম্মানের মালিক-তাঁর উপরে এ ত্রিভূবনে কেউ নেই-তা ছাড়া একজন সাধারণ চা শ্রমিক বাহিরে শহুরেও নাগরিক জীবনের চাকচিক্য অর্থবিত্ত ক্ষমতা প্রসঙ্গেঁ অবগত ওয়াকেব হাল নহেন-যদিও চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এ সবই জানেন-দেখেন কিন্তু তাদের সংখ্যা হাতে গুনামাত্র।
মেধাবী ছাত্র চয়ন ক্কাহারকে একটি চা বাগানের ম্যানেজার হওয়াকে সমর্থন না করে আমি তাকে একটি চা বাগানের মালিক হওয়ার পরামর্শ দিলে চা শ্রমিক সন্তান চয়ন ক্কাহার-“এ নামুমকিন হ্যায়-এক গরীব ইনছানকি আওলাদ কি লিয়ে-” বলে বেকে বসে সে। জরুর ইয়ে মুমকিন হ্যায়-বলে আমি চয়ন ক্কাহারকে উচ্চ শিক্ষা নিতে বি.সি.এস.পরিক্ষা দিতে, মানুষের মত মানুষ হতে পরামর্শ দেই। উচ্চ শিক্ষার জন্য গরিবী কোন সমস্যা নয় কারণ উপরে আছেন উপর ওয়ালা আর নীচে আছেন শিক্ষানুরাগি এম.এ.রহিম সিআইপি। তার শিক্ষকসহ সকলের পরামর্শে আশ্বস্থ হল চয়ন রাম ক্কাহার। চা শ্রমিক এর সন্তান বলে কেউ তাকে তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করেন নি। তাঁর মেধা, মনন ও মাধুর্য্যে গভার্নিং বডি, অধ্যাপক মন্ডলি, সহপাঠিগণ সকলেই তাকে আপন করে নিলেন। মানুষের মত মানুষ হতে লেখাপড়ায় মন দিল চয়ন রাম ক্কাহার। ইতিমধ্যে মনু, বিজনা আর বিলাস নদীর বুক দিয়ে অনেক পানি গড়িয়েছে। আমাদের জীবন থেকে বিদায় নিয়েছে বেশকটি বসন্ত। ইতিমধ্যে কলেজের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে জেলাবারে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক জলিরানী দাস। তাঁর স্বামী নিখিল রঞ্জন দাসও একজন আইনজীবী। এডভোকেট জলী রানী দাস জানালেন তাঁর প্রাক্তন ছাত্র চয়ন রাম ক্কাহার এর গুরভক্তি দারুন। তাঁর সঙ্গেঁ যোগাযোগ রাখে, মাঝে মধ্যে জেলাবারে আসে প্রনাম করে আশির্বাদ নিয়ে যায়। আমার সঙ্গেঁও মাঝে মধ্যে দেখা করে যায় চয়ন রাম ক্কাহার। আমি বয়সের ব্যবধান এবং সামাজিক অবস্থান উপক্ষো করে পিতৃ ¯েœহে জড়িয়ে ধরি। আবেগ ও আনন্দে মিষ্টি মুখ করাই।
ভালো চাত্র চয়ন ক্কাহার বানিজ্য বিভাগে এ-প্লাস পেয়ে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ইংরেজী বিভাগে অনার্সে ভর্ত্তি হয় অনার্স এ-ফাস্ট ক্লাস পেয়েছে সে। এখন মাস্টার্স ফাইন্যাল এবং বি.সি.এস.পরিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে মির্জাপুর চা বাগানের এক দরিদ্র চা-শ্রমিকের সন্তান চয়ন রাম ক্কাহার। মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন এবং সিভিল সার্ভিস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। আলহাজ্ব মকলিছুর রহমান রহমান ডিগ্রী কলেজ এখনও এম.পি ও ভূক্ত হয় নি। আলহাজ্ব এম.এ.রহিম সিআইপি নিজস্ব অর্থায়নে কোটি কোটি টাকা খরছ করে কলেজ টিকে টিকিয়ে রেখেছেন, একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে দাড় করিয়েছেন। তাঁর সহোদর কনিষ্ট ভ্রাতা আজীবন দাতা সদস্য মুজিবুর রহমান মুজিব লন্ডনের বিশাল ব্যবসা বানিজ্য ছেড়ে নিজ গ্রামে পড়ে আছেন। সকাল সন্ধ্যা কলেজের কাজেই ব্যস্ত আছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা উন্নয়নে, দেখ ভালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুজ খবর নিচ্ছেন-পিতা-মাতার সঙ্গেঁ কথা বলছেন।
একজন এম.এ.রহিম সিআইপি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব মকলিছুর রহমান ডিগ্রী কলেজ ছিল বলে মহান আল্লাহর অপার মেহের বানীতে এক দরিদ্র চা-শ্রমিক সন্তান চয়ন রাম ক্কাহার দেশের সর্ব্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে আজ মানুষের মত মানুষ হওয়ার পথে।
চা বাগানের ম্যানেজার হতে চেয়েছিল চা বাগান শ্রমিকের সন্তান চয়ন রাম ক্কাহার। আমি দ্বিমত পোষণ করে বলেছিলাম-“তুম ম্যানেজার ন্যেহি মালিক বনেগা জরুর”। চয়ন ক্কাহার লেখাপড়া শেষে চা বাগানের মালিক না হলেও মানুষের মত মানুষ হবে-যা বাগানের মালিকানার চাইতে ও কম নয়, চয়ন ক্কাহার এর জন্য আমার অনেক অনেক দোয়া শুভেচ্ছা।
লাগরহো চয়ন ক্কাহার, তোমারা জিন্দেগীকা হর মকসদ পুরি হগা জরুর। লাগরহো চয়ন ক্কাহার মেরে ইয়ার-মেরে পিয়ার।
[উপদেষ্টা ও সাবেক সদস্য গভার্নিং বডি, আলহাজ্ব, মকলিছুর রহমান ডিগ্রী কলেজ, রাতগাঁও-ইউসুফনগর, সমশেরগঞ্জ, মৌলভীবাজার। মুক্তিযোদ্ধা। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। কলামিষ্ট। আইনজীবী।]
মন্তব্য করুন