লীলা নাগ স্মৃতি পদক -২০১৮ উদযাপন পরিষদ গঠিত
আউয়াল কালাম বেগ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী, জয়শ্রী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী বিপ্লবী লীলা নাগের আগামী ২ অক্টোবর ১১৮তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান পাঁচগাঁও-এ লীলা নাগ স্মৃতি পদক উদযাপন পরিষদ গঠিত হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর। পরিষদের সভায় লীলা নাগ স্মৃতি পদক-২০১৮ ও লীলা নাগ স্মারক বক্তৃতার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
কবি ইন্দ্রজিৎ দেবকে আহ্বায়ক ও সাংবাদিক আকলু মিয়া চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট উদযাপন পরিষদ গঠন করা হয়। এ-পরিষদে আছেন সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক গৌরী পদ মালাকার, প্রভাষক আমিনা বেগম, সংস্কৃতিসংগঠক আহমেদ ফয়ছল আজাদ, রাজনৈতিক-কর্মী সঞ্জয় দেব নাথ, গীতিকার মৃদুল কান্তি দাস, শিক্ষক অমিত ভট্টাচার্য মিঠু, সংস্কৃতিকর্মী রুসেল আহমদ, এম ফিল গবেষক বিজিৎ দেব, শিক্ষক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, তানজিদ হামিদ তুহিন, খ-কালীন প্রভাষক রানা দেব নাথ, রাহিম আহমেদ পকলু, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্র্মী জয়দ্রত দেব জয়, মো. হারুন মিয়া, প্রতাপ চক্রবর্তী, প্রাক্তন দি ইন্ডিপেন্ডেট পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি বিপ্লব দেব প্রমুখ।
লীলা নাগ স্মৃতি পদক নির্বাাচনী বোর্ডের বিচারে বাংলাদেশের বিভিন্নক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ৭ জন পদকপ্রাপ্ত সাহিত্য ও সাংবাদিক ব্যক্তিত্বের নাম প্রকাশ করা হয়। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে নিন্মোক্ত ব্যক্তিবর্গকে লীলা নাগ স্মৃতি পদক-২০১৮-এর জন্য মনোনীত হয়। মনোনীত ব্যক্তিবর্গ হলেন-লোকসাহিত্য গবেষণায় মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও কন্ট্রলার নন্দলাল শর্মা, লোকসাহিত্য গবেষণায় মদনমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর আবুল ফতেহ ফাত্তাহ্, সাংবাদিকতায় দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরোচীফ ও দৈনিক সিলেট মিরর পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ নূর, কবিতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর জফির সেতু, রবীন্দ্র-গবেষণায় মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির পরিচালক (অর্থ) মিহিরকান্তি চৌধুরী, কবিতা ও কথাসাহিত্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণায় যুগভেরী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক অপূর্ব শর্মা। পদকপ্রাপ্তদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানানপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য ২০০৬ সাল থেকে লীলা নাগ স্মৃতি পদক চালু করা হয়েছে। প্রতিবছর ৭জন ব্যক্তিবর্গকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন