শফিক রেহমানের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ দুতাবাস ফ্রান্সে স্মারকলিপি প্রদান

May 19, 2016,

আবু তাহির ফ্রান্স থেকে॥ প্রবীণ সাংবাদিক ও দৈনিক যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের মুক্তির দাবিতে প্যারিসে অবস্হিত বাংলাদেশ দূতাবাসে স্মারকলিপি  প্রদান করেছে জাতীয়তাবাদী নাগরিক মুক্তি পরিষদ ফ্রান্স।

জাতীয়তাবাদী নাগরিক মুক্তি পরিষদ এর আহবায়ক শামিমা আক্তার রুবি   ও ফ্রান্স বিএনপি,র সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের এর নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসময় বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অফ কাউন্সিল হযরত আলী খানের হাতে স্মারক লিপি তুলে দেন। এসময়  নেতারা বলেন   বিবিসির প্রাক্তণ সাংবাদিক শফিক রেহমান একজন ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিক’। কোনো বিষয় না খতিয়ে ও প্রমাণ সংগ্রহ ছাড়া তিনি লেখেন না এটা  বাংলাদেশের সর্বস্তরের  মানুষ জানে। সম্পূর্ণ মিথ্যা ভাবে তাকে হয়রানি করা হয়েছে।

সাংবাদিক শফিক রেহমান কে রিমা-ের নামে নির্যাতনের ফলে তার জীবনহানির  আশঙ্কা ও করেছেন জাতীয়তা বাদী মুক্তি পরিষদ ফ্রান্সের  নেতারা। এসময় প্রতিনিধি দলে উপস্হিত ছিলেন ড কামরুল হাসান ,গোলাম রসুল রুবেল, প্রফসর তসলিমা আক্তার,  রাশেদুল ইসলাম ,ফরিদা আক্তার ,ডালিম সরকার ,নজরুল ইসলাম।

বিবৃতিতে  তারা বলেন ‘বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেশে বাকস্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার প্রক্রিয়া এখনো চলমান। প্রকাশিত লেখার জন্য দেশের বহু জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও লেখককে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে। সম্প্রতি এর শিকার হয়েছেন ৮১ বছর বয়সী সম্পাদক, মৃত্যুদ-ের সাজার বিরোধিতাকারী, টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপস্থাপক এবং সাংবাদিক শফিক রেহমান। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করতে দেশের বিচারিক ব্যবস্থার সর্বশেষ নির্যাতনের শিকার তিনি।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘গত ১৬ এপ্রিল সকালে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই শফিক রেহমানকে আটক করে নিয়ে যায়। এই সাংবাদিকের বাড়িতে প্রবেশের জন্য একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এর পর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান তাঁরা।’

বিবৃতির সবশেষে বলা হয়েছে, ‘বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে রাখতে সরকারের এই প্রবণতা বাংলাদেশে একটি ভীতি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের পরিবেশ তৈরি করেছে। সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের জোর করে কারাবন্দি করে রাখার কারণে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সই করা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনিয়েন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসেরও লঙ্ঘন করছে। বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এমন হস্তক্ষেপের বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশেষ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নিজের মত প্রকাশের অধিকার প্রদর্শন করার অপরাধে শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, আবদুস সালাম, শওকত মাহমুদসহ গ্রেপ্তার সব বন্দিকে অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়া উচিত।’

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com