শহরের ৩৪টি পয়েন্টে অবৈধ স্ট্যান্ড : সেলামি ও ভাড়া পরিশোধ করে কোন রকম দিন কাটছে চালকদের
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। যার ফলে শহরে বাড়ছে জনদূর্ভোগ ও দূর্ঘটনা। বিনষ্ট হচ্ছে শহরের সুন্দর পরিবেশ। যানজট এখন মৌলভীবাজার শহরের নিত্য দিনের সঙ্গি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের কুসুমবাগে ১০টি, শমসেরনগর রোডে ৪টি, কলেজ পয়েন্টে ১টি, টিসি মার্কেটে ৭টি, চাদঁনীঘাটে ৮টি, কোর্ট পয়েন্টে ১টি, বাজার টানিং পয়েন্টে ৩টি ও শহরের ছোট-বড় বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের উপর অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে ভাসমান স্ট্যান্ড। প্রতিনিয়ত সড়ককের উপর থেকে যাত্রীরা উঠানামা করায় যানজট ও দূর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফুতপাত দিয়ে চলাফেরা করতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে পথচারীদরে।
শহরের মৌলভীবাজার থেকে সিলেট, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, শেরপুর, কুলাউড়া ও রাজনগর যাতায়াতের প্রধান সড়কের পাশে এসব স্ট্যান্ড গুলোর অবস্থান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজি চালক বলেন, আমরা গাড়িপ্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে ট্রাফিক পুলিশকে দেই। ৩৪টি স্ট্যান্ডে প্রায় ৪ হাজার গাড়ি তালিকাভুক্ত রয়েছে। ট্রাফিক বিভিন্ন সময় রাস্তায় গাড়ি আটকিয়ে আমাদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে টাকা আদায় করেন। ট্রাফিক পুলিশের সেলামি ও মালিক ভাড়া দিয়ে কোন রকম দিন কাটছে আমাদের।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া বলেন, ট্রাফিক পুলিশের যন্ত্রনায় অমরাও অতিষ্ট। বিভিন্ন মাধ্যমে তাদেরকে ম্যানেজ করে চলতে হয়।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা মাসিক চাঁদার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কাজে জড়িত নন।
মন্তব্য করুন