শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সায়ত্রিশ তম শাহাদাত বার্ষিকী : স্মরন ও শ্রদ্ধাঞ্জলী

May 28, 2018,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ ত্রিশে মে একাশিসাল- বাংলাদেশের সমকালীন সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। বেদনার দিন। ঐদিন রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কতেক বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন- শাহাদাত বরন করেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বহুদলীয় গনতন্ত্রের পূনঃ প্রবর্তক- সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। প্রেসিডেন্ট জিয়া রাষ্ট্রীয় সফরে চট্টগ্রাম ছিলেন। -বারো আওলিয়ার মুল্লুক- বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একাত্তোরের অগ্নিঝরা দিন গুলিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক চৌকশ মেজর স্বদেশ প্রেম ও স্বাদেশীকতায় উদ্ভোদ্ধ হয়ে -‘আমি মেজর জিয়া বলছি’- বলে মহান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নিজের নাম স্বর্নাক্ষরে লিখিয়েছিলেন সেই বন্দর নগরী চট্টগ্রামেই মাত্র এক দশকের মাথায় ঘাতকদের বেপরোওয়া ব্রাশ ফায়ারে ঝাঝরা হয়ে যায় প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্বর্ন হৃদয়। যে অকুতভয় বীর যোদ্ধা একাত্তোরের রনাঙ্গঁনে নিজের জীবনকে বাজি রেখে হার্মাদ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে লড়াই করেছিলেন সেই বীর যোদ্ধা স্বাধীনতা উত্তরকালে রাষ্ট্র কর্তৃক জীবিতদের সর্ব্বোচ্য খেতাব বীর উত্তমে ভূষিত হয়েছেন সেনাবাহিনীর মর্য্যাদা সম্পন্ন পদবী মেজর জেনারেল -এ- উন্নীত হয়েছেন, দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্ব্বাচিত হয়েছেন, সেখানে তাঁরই অধীনস্থ কতেক জুনিয়ার সেনা কর্ম্মকর্তা দেশে প্রচলিত আইন কানুন, সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতঃ দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে নির্ম্মমভাবে হত্যা করেন। যে চট্টগ্রামে মাত্র একদশক পূর্বে মেজর জিয়ার মুক্তিযোদ্ধা জিয়া হিসাবে উত্থান- ও I Major Zia, on behalf of our great leader Bongo Bondhu Sheikh Mujibur Rahman do here by declare The Independence of Bangladesh  বলে মুক্তিযুদ্ধের একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেই চট্টগ্রামের মাটিতেই শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আকস্মিক ও অকাল শাহাদাত বরনে ঢাকা-চট্টগ্রাম-দেশব্যাপী শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকের মাতম উঠে- টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া- হায় জিয়া- হায় জিয়া। ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অনুষ্টিত হয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিশাল নামাজে জানাজা। সেটি ছিল স্মরন কালের বৃহত্তম নামাজে জানাজা। দেশ ও জাতি তার গর্বিত সন্তানকে শেষ শ্রদ্ধা- শেষ বিদায় জানান। চন্দ্রিমা উদ্যানে চীর শয়ানে শায়িত আছেন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মহান মালিক তাঁর বেহেশ্ত নসীব করুন।
বাংলাদেশের সমকালীন সমাজ, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান একটি ব্যাতিক্রমি নাম- অমর নাম। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চৌকশ অফিসার জিয়াউর রহমান একাত্তোর সালে সিনিয়র মেজর পদমর্য্যাদায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বেঙ্গঁল রেজিমেন্টে কর্ম্মরত ছিলেন। সত্তোর সালের সাধারন নির্ব্বাচনে তৎকালীন পকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক উভয় পরিষদে বিপুল সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করেন বাঙ্গাঁলী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের আপোষহীন নেতা বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গঁবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করলেও তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টাল বাহানা ও কাল ক্ষেপন করতে থাকেন পাকিস্তানের ফৌজি প্রেসিডেন্ট লেঃ জেঃ আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খাঁন। দেশব্যাপী টান টান উত্তেজনা বিদ্যমান। দেশ ও জাতির সেই ক্রান্তি কালে সত্তোরের সাধারন নির্ব্বাচনে ম্যেন্ডেট প্রাপ্ত জাতির মহান নেতা বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনে দেশ জাতি বিশ^বাসীকে কতেক ঘোষনা ও দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই ঐতিহাসিক ভাষন বর্ত্তমানে -ইউনেস্ক- কর্তৃক স্বীকৃত ও সম্মানিত।
চট্টগ্রামস্থ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়া কর্তৃক মহান স্বাধীনার ঘোষনায় তার কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিলনা, একজন বাঙ্গাঁলি সেনা কর্ম্মকর্তা হিসাবে দেশ ও জাতির সেই ক্রান্তিকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গেঁ সম্পর্ক ছিন্ন করে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন, বাংলা ও বাঙ্গাঁলির মুক্তি সংগ্রামের ডাক দেন। তিনি তার ঘোষনায় যথাযথভাবেই সেই সময়কার নির্ব্বাচিত নেতা আওয়ামীলীগ প্রধান বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবের পক্ষেই স্বাধীনতার ঘোষনাটি দেন। মেজর জিয়া নিজের কোন পদ-পদবী ঘোষনা করেন নি, কিংবা দাবীও করেন নি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি জেড-ফোর্সের অধিনায়ক এবং একটি সেক্টারের কমান্ডারের দায়িত্ব পালস করেছিলেন। স্বাধীনতা উত্তরকালে সৈনিক জিয়া ব্যারাকে ফিরে যান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান নিযুক্ত হন। প্রসঙ্গঁত উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হয়েছিলেন জেনারেল কে.এম. শফি উল্লাহ, বি.ইউ।
পঁচাত্তোরের পনেরোই আগষ্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিপথগামী কতেক সেনা কর্ম্মকর্তা বঙ্গঁবন্ধুর বাস ভবন ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে কমান্ডো কায়দায় অভিযান চালিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে নির্ম্মমভাবে হত্যা করে।- তার ভাষায় পনেরোই আগষ্টের সারথী হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতাসীন হন বঙ্গঁবন্ধুর আজীবনের বন্ধু আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী প্রবীন নেতা খন্দকার মুশতাক আহমদ। অতঃপর ৩রা নভেম্বর ৭৫ সালে জেল খানায় চার জাতীয় নেতা হত্যা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে কলংকের কালিমা এঁকে দেয়।
বঙ্গঁবন্ধুর মন্ত্রীসভার সিনিওর মন্ত্রী খন্দকার মুশতাক আহমদ বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে দেশে সামরীক আইন জারী করেন। দাউদকান্দির আদি অধিবাসি খন্দকার মুশতাক এর পনেরো আগষ্টের ব্যার্থ সেনা অভ্যোত্থানে নেতৃত্ব দানকারী কর্নেল ফারুক, রশিদ, হুদা- গং কুমিল্লা- চিটাগাং গ্রুপ এর থাকায় কুমিল্লাহর খন্দকার মুশতাক আহমদ অঘোষিত সি.এম.এল.এ- এর মত বঙ্গঁভবনে রাজত্ব করেছিলেন। পচাত্তোর সালের ৩রা নভেম্বরই জেনারেল খালেদ মুশাররফ এর নেতৃত্বে কাউন্টার ক্যু অনুষ্টিত হলে জেনারেল জিয়াকে সেনানিবাসে গৃহবন্দি করা হয়। বিভিন্ন চাপের মুখে রাষ্ট্রপতি খন্দকার মুশতাক আহমদ পদত্যাগ করতঃ বিচারপতি এ,এস,এম সায়েমের কাছে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। এ সময় দ্দত পট পরিবর্তন হতে থাকে। পচাত্তোরের সাতই নবেম্ভর সংঘঠিত হয় বহুল আলোচিত-আলোড়িত ঐতিহাসিক সাতই নবেম্ভর এর বিপ্লব। এই সিপাহী বিদ্রোহের মাধ্যমে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করা হয় মেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমানকে। প্রকৃত পক্ষে তখন থেকেই তিনি ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হতে থাকেন। সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়ে জেনারেল জিয়া সেনাবাহিনীতে চেইন অব-কমান্ড ফিরিয়ে আনেন। সেনা সদস্যরা ব্যারাকে ফিরে যান। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্দত উন্নত হতে থাকে। সেনা শাসন- সামরীক আইন থেকে বেসামরীক প্রশাসনী করন ও গনতন্ত্রায়নের পথে এগুতে থাকে দেশ ও জাতি। প্রেসিডেন্ট সায়েম এর উপদেষ্টা পরিষদে অর্থনীতিবিদ এম.সাইফুর রহমান, ড. এম. এন. হুদা, সৈয়দ আলী আহসান প্রমুখ বেসামরীক জ্ঞানী-গুনীজনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এক পর্য্যায়ে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্ব্বাচিত হন স্বাধীনতার মহান ঘোষক-মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান। মহামান্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ভার নিয়ে ক্রমান্বয়ে বহুদলীয় গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। ইতি পূর্বে শুধুমাত্র চারটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ পত্র রেখে সংবাদ পত্র ও সংবাদ সংস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে বাহির্বিশে^ বাংলাদেশের মর্য্যাদা ও ভাবমূর্তি ইমেজ বৃদ্ধি পেতে থাকে। দেশে শুরু হয় উৎপাদন ও উন্নয়নের রাজনীতি। প্রেসিডেন্ট জিয়ার উনিশ দফা কর্মসূচী খাল কাটা, কৃষি উন্নয়ন তথা সবুজ বিপ্লবের শুভ সূচনা ঘটায়। উৎপাদন ও বিনিয়োগ বুদ্ধি পায়। ব্যাংকিং সেক্টার ও মুদ্রা বাজারে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। তাঁর সময় মুদ্রা পাচার ও মুদ্রাস্ফিতি ছিলনা। উনআশি সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি.এন.পি. নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করে- যদিও দেশে তখন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল।
দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় শান্তি, সম্প্রিতি, সৌহার্দ্য ও উন্নয়নের লক্ষে একটি আঞ্চলিক ফোরাম গঠনের স্বপ্ন দ্রষ্টাও ছিলেন তিনি। -“সকলের সঙ্গেঁ বন্ধুত্ব কারো সঙ্গেঁ শত্রুতা নয়”- এমন পরিচ্ছন্ন ও প্রচ্ছন্ন পররাষ্ট্র নীতি তার শাসনামলে দৃশ্যমান ছিল।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে দেশ যখন উন্নয়ন অগ্রগতি ও প্রগতির পথে তখন বন্দর নগরী চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় সফরে যান প্রেসিডেন্ট জিয়া। ত্রিশেমে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ঘাতকদের ব্রাশফায়ারে করুনভাবে মৃত্যো বরন করেন- প্রেসিডেন্ট জিয়া- শহীদ জিয়া। যে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে রাত্রি যাপন করেছিলেন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেই চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ এখন শহীদ জিয়া যাদুগর। এখানে গেলেই দেখা যাবে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সহজ সরল সাধারন জীবনদর্শন-জীবনাচরন। তার হাফহাতা সাফারি, ভাঙ্গাস্যুাট কেস জায়নামাজ, প্রমান করে কত সাধারন জীবন যাপন করতেন তিনি। ত্রিশে মে- রাত্রের নৈশভোজের খাদ্য তালিকা সংক্রান্ত কাগজাতও টাঙ্গাঁনো আছে দেয়ালে- সাদা ভাত মুরগির ঝুল, ডাল,সবজি ছিল দুনিয়াতে তার শেষ খাবার। কোরমা-পোলাও-চিকেন-মাটন-রেজালা-ডেজার্ট ভূরিভূজ নয়, সামান্য ডালভাত ছিল তাঁর প্রিয় খাবার। ব্যাক্তি ও রাষ্ট্রপতি হিসাবেও তিনি ছিলেন শতকরা একশত ভাগ সৎ। তাঁর সততা প্রশ্নাতীত। তর্কাতিত। স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি, ভ্রষ্টাচার, বানিজ্যায়ন দূবৃত্তায়নের ঘোর বিরোধী ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাঁর কট্টর সমালোচক গনও তাঁর দূর্নীতি-স্বজনপ্রীতির কোন অভিযোগ উত্থাপন করেন নি। ত্রিশে মে একাশিসালে শাহাদাত প্রাপ্ত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ চন্দ্রিমা উদ্যানে চীর শয়ানে শায়িত আছেন।
ইসলামী আইনের বিধান মোতাবেক মানবাত্বার ক্রমবিকাশের ধারাকে ১. রুহের জগত-আলমে আরওয়া, ২. মাতৃগর্ভ, ৩. মাটির পৃথিবী, ৪. কবর, ৫. হাসর, ৬. জাহান্নাত, জাহান্নাম- এই কভাগে ভাগ করা হয়েছে। রুহের ক্রমবিকাশের এই ধারায় পৃথিবীর সময় ক্ষনস্থায়ী ও অনির্ধারিত। ইসলাম ধর্ম্মের বিধান ও চেতনা মতে একজন মানুষের মৃত্যোই সব শেষ নয়। মৃত্যো পরবর্ত্তী কালে রয়ে গেছে অনাদি-অনন্ত জীবন। মৃত্যোর সাথে সাথে দেশে প্রচলিত আইন মোতাবেক একজন মূর্দা তার বিষয় সম্পত্তি-অর্থ-বিত্তের উপর মালিকানা হারালেও তাঁর ওয়ারিশদের উপর তাঁর -হক- থেকে যায়। লাশের নেক আওলাদ-লায়েক ওয়ারিশগন একজন মরহুমের রুহের মাগফিরাত, কোরআন খতম, নফল নামাজ, দোয়া, দূরুদ করেন। গরিব মিসকিন খাওয়ান। বিশেষতঃ দিবসে উৎসবে। দূঃখ্য ও দূর্ভ্যাগ্যজনক ভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী -পুত্র-সন্তান পরিবার বর্গ আজ সে অবস্থানে নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়া একটি মামলার কারাদন্ড নিয়ে কারাগারে। মামলায়-মামলায় জর্জরিত। প্রথম পুত্র তারেক রহমান বিলেত প্রবাসী-চিকিৎসাধীন। দ্বিতীয় পুত্র আরাফাত রহমান বনানীর কবরস্থানে-কবরবাসি। এই শাহাদাত বার্ষিকীতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের তাঁর কবর জিয়ারত ফাতেহা পাঠের সুযোগ নেই। সম্ভাবনাও কম।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বরনের পর তাঁর নামাজে জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল। সারা বাংলায় শোকের মাতক উঠেছিল-টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হায় জিয়া- হায় জিয়া। এই ক’যুগেও শহীদ জিয়া আছেন দেশবাসির হৃদয়ে। মনের মনি কোঠায় অন্তরে অনুভবে। আছেন তাঁর প্রিয় দল, বীর মুক্তিযোদ্ধা- সুশীল সমাজ-জাতীয়তাবাদী শক্তি। আছেন মহানগর ঢাকার সংগ্রামী মহাজনতা। নিঃসন্দেহেই আশা করা যায় দেশবাসি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াাকে স্মরন করবেন বিনম্্র শ্রদ্ধায়। ভালোবাসায়।
ত্রশে মে- শহীদ জিয়ার এই শাহাদাত বার্ষিকীতে তাঁর উজ্জল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ও রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
[মুক্তিযোদ্ধা। সিনিয়র এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। কলামিষ্ট]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com