শীতে কাঁপছে মৌলভীবাজার : দেশের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
স্টাফ রিপোর্টার॥ টানা কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মৌলভীবাজার। জেলার উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত প্রবাহ। ঘন কোয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে পূরো জেলা। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতায় ছিন্নমুল ও দিনমজুররা পড়েছেন সীমাহীন কষ্টে। সাধারণ মানুষের জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেই ঘর থেকে বাহির হচ্ছেননা। কন কনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশী হাওরপাড় ও চা বাগান এলাকার শ্রমজীবি মানুষ ভোগান্তিতে পরেছেন। দিনে ও রাতে খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকেই। ঘন কোয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহন গুলো হেড লাইট জ¦ালিয়ে চালাতে দেখা গেছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল সহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স গুলোতে শীতজনিত রোগ সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ঠ ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অভ্যাহত রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, তাপমাত্রা কমে গেলে ও ঘনকোয়াশা থাকায় বোরো ধান চাষাবাদে কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় বীজ তলায় চারা গজাতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়াও ঘন কোয়াশা দীর্ঘনি থাকলে ধানে চিটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, চলতি শীত মৌসুমের প্রথম দিকে অর্থাৎ গত ৮ নভেম্বর থেকে মৌলভীবাজার অঞ্চলের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নীচে নেমে আসে। এর কয়েকদির পর থেকে তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা নামা করে।
মৌলভীবাজারস্থ শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার এ অবস্থা আরও কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে। ঘন কোয়াশা কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
মন্তব্য করুন