(ভিডিওসহ) শেখ হাসিনা এদেশে হত্যা ক্যু’র রাজনীতি সাংবিধানিক ভাবে চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন-মৌলভীবাজারে জাহাঙ্গীর কবির নানক
স্টাফ রিপোর্টার॥ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতিমন্ডলী’র সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বিএনপি মহা সচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের সমালোচনা করে বলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর আপনাদের কথায় নাকি দেশ চলবে। দিন তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন, ধর্য্যরে বাঁধ ভেঙ্গে দিবেন না। ষড়যন্ত্র করে এগিয়ে কোন লাভ নেই। জণগণের কাছে আসেন। জনগণের ভোটে অংশগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা এদেশে হত্যা ক্যু’র রাজনীতি সাংবিধানিক ভাবে চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলো মাপকাটি দাঁড়িপাল্লা। আর কোনো মাপকাটি নেই। সেই মাপকাটিতে যদি আপনারা আসন সংখ্যা শতভাগ পান আমাদের সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে সঠিক সময়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের।
কিভাবে সামরিক জান্তার মাধ্যমে আপনাদের দলের জন্ম হয়েছে তাতো অজানা নয়। আপনারা আব্দুর রহমান,বাংলা ভাই সৃষ্টি করে দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চেয়ে ছিলেন।
আপনাদের নেতা তারেক জিয়া দেশের বাহিরে কেন। সাহস থাকলে দেশে এসে রাজ পথে থাকেন। আপনাদের আমলে হত্যা, খুন ও নৈরাজ্য মানুষ ভুলতে পারেনি বলে আপনাদের তারা গ্রহণ করতে চায় না। বিএনপি জামাতের আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন, খুন,ধর্ষণ তা কখনো ভুলা যায় না।
তিনি বলেন লাটি সোটা নিয়ে পুলিশের উপর বিএনপি হামলা করবে, আর যুবলীগ কর্মীরা বসে তামাক খাবে। লাটি সোটা ছেড়ে গণতন্ত্রের চর্চার আসার আহবায়ন করেন তিনি।
সম্মেলনের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, তারেক জিয়ার একজন ভন্ড, প্রতারক, লোভী ও অভিলাষী রাজনীতিবীদ ১৩-১৪ বছর আগে মুসলেকা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তার নেতৃত্বের মাধ্যমে দলের কর্মীদের বিভ্রান্ত করছেন। বিলাসবহুল জীবন যাপন করে নানা নির্দেশ দিয়ে কর্মীদের বিভ্রান্ত করছেন। তিনি একজন কাপুরুষ, তার নেতৃত্বে জনগন সাড়া দিবেনা। রাজনীতি করলে দেশে আসতে হবে। তারেক জিয়া দেশ ছাড়ার আগে ওই কর্মীদের বয়সই বা কতো ছিলো। তারাতো তারেক জিয়ার আমলের ১২ ঘন্টার লোডশেডিং দেখেনি। সিরিজ বোমা হামলা দেখেনি। নিজেকে আড়াল করে তিনি কর্মীদের সরলতার সুযোগ নেন। এসির ভেতর বসে রাজনীতি করেন।
তিনি তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন কেন নেতাকর্মীরা আপনার নেতৃত্ব মানবেন। কোনো কাপুরুষের নেতৃত্ব ও নির্দেশনা নেতাকর্মীরা গ্রহণ করেনা। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখনই দেশকে অস্থির করতে এরা উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের বলেন নির্দেশ দিচ্ছি রাজপথে থেকে এই ভন্ড প্রতারকদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবেন। তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের বলেন রাজপথে থেকে এই ভন্ড প্রতারকদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবেন।
সোমবার ১০ অক্টোবর দূপুরে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী যুবলীগ অয়োজিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তারা উপরের উল্লেখিত কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে পবিত্র কুরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যম শুরু হয় মুল আলোচনা অনুষ্ঠান। এরপর শোকপ্রস্তাব পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীগ সভাপতি নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: রেজাউল কবির, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ উপ-মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমীন সহ অন্যন্যরা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো: কামাল হোসেন,কেন্দ্রীয় যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী,উপ-সংকৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ,কেন্দ্রীয় যুবলীগে প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফয়জুল হক মুবিনসহ অনেকে।
২০১৭ সালের ৪ মে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সম্মলনকে কেন্দ্র করে ৩ শতাধিক তোরণসহ নানা বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয় জেলা শহর। বৃষ্টি অপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের দলীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত টি শার্ট ও প্লে কার্ড নিয়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
মন্তব্য করুন