(ভিডিওসহ) শেখ হাসিনা দেশকে বিশ্বের দরবারে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন, মৌলভীবাজারে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস কাবাডি প্রতিযোগিতায়-পরিবেশমন্ত্রী
আশরাফ আলী॥ মৌলভীবাজারে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস পুরুষ-নারী কাবাডি প্রতিযোগিতা ২০২১ “সুরমা জোন” এর খেলা শুরু হয়েছে।
শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্যবাহী কাবাডি খেলা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাবাডি প্রতিযোগীতার আহবায়ক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা আমাদের নতুন পতাকা দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। আর তার কন্যা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। দেশকে নতুন ভাবে পরিচিত করাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সফল পরিচালনায় দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। মহামারী করোনা সফলভাবে মোকাবিলা করে বিশ্বের নেতৃবৃন্দের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলা ষ্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস সুরমা জোন এর কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধেই দেশকে নেতৃত্ব দেননি। তিনি একজন দক্ষ ফুটবলার হিসেবে চল্লিশের দশকের বিখ্যাত ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাবের অধিনায়ক হিসেবেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ধানমন্ডি ক্লাবেরও প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । জাতির পিতা নিজে যেমন খেলােয়াড় ছিলেন, তেমনি তার পরিবারের সদস্য তথা দেশের মানুষকেও খেলাধুলায় উদ্ববুদ্ধ করতেন।
বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথই অনুসরণ করে গেছেন তাঁর দুই ছেলে শেখ কামাল ও শেখ জামাল । এই দু’ভাইয়ের মধ্যে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল। ফুটবল, ক্রিকেট ও বাস্কেটবল তিনটি খেলাতেই সমান পারদর্শী ছিলেন। আজকের আবাহনী ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল। শেখ কামালের পাশাপাশি শেখ জামালও অবদান রেখেছেন আবাহনী প্রতিষ্ঠায়। তিনি ভালোমানের হকি খেলোয়াড়ও ছিলেন। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধুর পুত্রবধু শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকি ছিলেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ অ্যাথলেটদের একজন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দারুণ রকম ক্রীড়ানুরাগী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো সব সময়ই দেশের খেলাধুলার খোঁজ রাখেন। তিনি এতোটাই ক্রীড়াপ্রেমী যে, যেখানে খেলা হয় শত ব্যস্ততার মাঝেও সেখানেই ছুটে যান। উৎসাহ যোগান লাল সবুজ ক্রীড়াবিদদের।
তিনি আরও বলেন, ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী মাদক ও সন্ত্রাসে বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। শিশু কিশোরদের মাঝে সুকুমার বৃত্তি ও সুপ্তপ্রতিভার বিকাশ সাধনের জন্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, হারিয়ে যাওয়ার খেলায় যুক্ত হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাবাডি খেলার নামও। যা আমাদের দেশের জাতীয় খেলা। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে হারিয়ে যাওয়া কাবাডি খেলা নতুন প্রজন্মের মধ্যে আলো ছড়াবে বলে মনে করি। মন্ত্রী বর্তমান প্রজন্মকে পরিবেশ দূষণ ও বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বিষয়ে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করার আহবান জানান।
সুরমা জোনের খেলায় মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, ফেনী ও চাঁদপুর জেলার ছেলেরা এবং পৃথক ভাবে মেয়েদের ইভেন্টে মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা অংশগ্রহণ করছে।
উদ্বোধনী দিনে মৌলভীবাজার জেলার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সুনামগঞ্জ জেলার সাথে চাঁদপুর জেলার খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন