শোকাবহ আগষ্টে মাসে ইউকে বিডি টিভির সমাপনী অনুষ্ঠান “শোকার্ত হৃদয়ের শ্রদ্ধা” সম্পন্ন,
বদরুল মনসুর॥ হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত ইউ কে বিডি টিভির সমাপনী অনুষ্ঠান “শোকার্ত হৃদয়ের শ্রদ্ধা” গত ৩১ শে আগস্ট মঙ্গলবার আন্তর্জাতিকভাবে ভার্চুয়ালি সম্পন্ন হয়েছে।
ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে ও ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল আলম লিংকন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়ালি সমাপনী পোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সাখাওয়াত হোসেন শফিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপ-কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক এম নজরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা এম এ সালাম, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা; সাব্বির হোসেন খান, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডিজি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান রেনু, কানাডা ক্যুইবেক আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিম আহমেদ, ও মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কবিতা আবৃত্তি করেন সুদেষ্ণা ব্যানার্জি, সঙ্গীত পরিবেশন করেন একাত্তরের রণাঙ্গনের গণসঙ্গীত শিল্পী হিমাংশু গোস্বামী, কন্ঠ শিল্পী সুনিত ঘটক, ও কণ্ঠশিল্পী বনানী পোদ্দার,যুদ্ধাপরাধী, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, ১৫ অগাস্টের খুনিদের দোসরদের দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত এবং তাদের মদদ দেওয়া আন্তর্জাতিক শক্তি সম্পর্কে জাতিকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়ে আলোচনা সভার প্রধান ও বিশেষ অতিথি তাঁদের বক্তব্যে বলেন “এই বাংলাদেশে ১৫ অগাস্টে যে হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে এবং এরপরে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা। এছাড়া তো বহুবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপরও হামলা, হামলা করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন ৭৫ এর ১৫ ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যা বা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটা ছিল সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্র। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিগত সরকারের আমলে হত্যাকাণ্ডের বিচার করার মাধ্যমেবঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল সেই হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচার করা হয়নি। জাতিকে পুরাপুরি কলঙ্কমুক্ত করতে হলে এই ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি।’
বক্তারা আরো বলেন“একাত্তরের পরাজিত শক্তি তারা সব সময় সক্রিয় ছিল এবং এখনও যুদ্ধাপরাধী, পরাজিত শক্তি এবং ১৫ অগাস্টের খুনি, ফাঁসি যাদের হয়েছে তারা তো বটেই, তাদের ছেলে-পেলে যারা এবং যুদ্ধাপরাধী যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদেরও ছেলে-পেলে বা দোসর যারা, বংশধর তারা কিন্তু এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।”
বক্তারা বলেন, “যে সকল আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছিল তাদের কিছু কিছু এদেরকে মদদ দিয়ে থাকে। কাজেই এই ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তাঁরা আরো বলেন ’৭৫ সালে আমরা সরকারে ছিলাম। তখন প্রশাসন ছিল, সেনাবাহিনী ছিল, কিন্তু ১৫ আগস্ট কী দেখলাম, তারা যে কারণেই হোক খুনীদের সহযোগী হয়ে গিয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করে নি। তারা গণতন্ত্র সমাজন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতার দর্শন ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে গিয়েছিল। তাদের অপরাধের শাস্তি বিধান করা উচিত। সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। , আজ আমাদের শপথের দিন, ঘুরে দাঁড়াবার দিন বলে উল্লেখ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন