শ্রীমঙ্গলের বরবটি রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ চলতি মৌসুমে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে বরবটি রোপনের কাজে এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। শত শত শ্রমিক ও পরিবারের লোকজন নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা প্রখর রৌদ্রের তাপ উপেক্ষা করে জমিতে বরবটি রোপন কাজে আবার কেউ চারা রোপন করে পরিচর্যার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের মাঝে এখন বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
সরেজমিন শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, উপজেলার কৃষি জমিতে জমির মাটি গুঁড়ো করে আবাদি করে তুলতে কাজ করছেন। অনেক জমিতে সার ছিটিয়ে বরবটি রোপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা।
এছাড়া যেসব জমি আবাদ করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত, সেই জমিতে বরবটি রোপন করা হচ্ছে। আবার কোনো জমিতে দুপুর গড়িয়ে যাওয়ায় রোপন কাজ সাময়িক বন্ধ রেখে দুপুরের আহার সেরে নিচ্ছেন কৃষকরা।
উপজেলার সাতগাঁও, ভুনবীর, আশিদ্রোণ, কালাপুর ইউনিয়নের কৃষকরা বেশি ব্যস্ত। কৃষকরা জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষি জমিতে বরবটি রোপন কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। কৃষকরা বলেন, বরবটি সাধারণত খরিফ মরসুমে ভাল হয়। কিন্তু দিবস নিরপেক্ষ জাত বছরের যে কোনও সময়ে চাষ করা যায় এবং এই সবজির বছরভর চাহিদা থাকে। এই চাষ করলে মাটির উর্বরতাও বাড়ে। খরিফ মরসুমের (মার্চ-সেপ্টেম্বর) চাষটা একটু আগে করলে বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। খরিফ ও প্রাক খরিফে চাষ করার জন্য পুসা ফালগুনী, পুসা দোফসলী, পুসা বর্ষাতি, অর্ক গরিমা ভাল জাত।
কৃষকদের কাছে জমি ও মাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, প্রায় সব ধরনের মাটিতে বরবটি চাষ হলেও দোঁয়াশ মাটিই ভাল।
সিন্দুখান ইউনিয়নের লাহারপুর গ্রামের বরবটি চাষী তোতা মিয়া জানান তিনি বরবটির চারা রোপণ করেছেন এখন পরিচর্যার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জৈষ্ট্য মাসের শেষের দিকে বরবটি বাজারজাতের যোগ্য হবে বলে জানান।
বরবটি চাষী শৈলেন দেব বলেন তার জমির ৬০ ভাগ জমিতে বরবটি চাষ করেছেন। যদি পোকা মাকরের আক্রমণ থেকে বরবটির চারা বাচানো যায় তাহরে বরবটি বিক্রি করে তিনি লাভবান হতে পারবেন বলে জানান।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন মুনালিসা জানান, এ বছর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৬৬ হেক্টর জমিতে বরবটির চাষ হয়েছে। উপজেলার সিন্দুরখান ও ভুনবীর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে সবচেয়ে বেশী বরবটি চাষ করা হয়েছে।
জমি তৈরি, বীজ বোনা, সার প্রয়োগ এবং ফসল তোলা এসব বিষয়ে বরবটি চাষীদের অবগত করা হয়েছে। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল কৃষি অদিদপ্তর থেকে কৃষকদেরকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয় বলে জানান।
মন্তব্য করুন