শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া হৃদ হয়ে উঠতে পারে আকর্ষনীয় পর্যটন স্থান
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটন স্থান এর অন্ত নেই। যেদিকে চোখ যাবে সেদিকেই শুধু সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায়। প্রতিদিন শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্থানগুলোতে হাজারও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের মিলনমেলা দেখা যায়। প্রাকৃতিক সৌনাদর্যের অপরুপ লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলে রয়েছে সবুজে ঘেরা চায়ের বাগান, শ্রীমঙ্গলে প্রবেশদ্ধর সাতগাঁও চা বাগানে অবস্থিত চা কন্যা ভাষ্কর্য, রেইন ফরেষ্ট লাউয়াছড়া, খাসিয়া পান পুঞ্জি, মিনি চিড়িয়াখানা, হাইল হাওর, ঝরনা, লেইক, বধ্যভূমি- ৭১, নীল কন্ঠ চা কেবিন, মনিপুরী পল্লী এগুলো বিশেষ পর্যটন স্থান। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলে ছোট বড় মিলিয়ে নাম না জানা রয়েছে অনেক পর্যটন স্থান।
ইতিমধ্যে শ্রীমঙ্গলের চা বাগানে একটি হৃদের খুজ পাওয়া গিয়েছে। সবুজে ঘেড়া চারপাশে চা বাগান আর মধ্যখানে বিশাল এক হৃদ। নাম ভাড়াউড়া হৃদ (লেক)। স্থানীয় লোকেরা ভাড়াউড়া লেক বলে থাকেন। লেকটির সৌন্দর্যের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে লেকটির সৌন্দর্যের কথা। তার পর থেকে স্থানীয় লোকজন সহ অনেক পর্যটকরা এখন এই লেকটিতে ঘুড়তে আসেন।
লেক’টি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ছয়-সাত কিলোমিটার দুরে ভাড়াউড়া চা বাগানে অবস্থিত। চা বাগানের বাগানের শ্রমিকদের পাড়া থেকে বেরিয়ে গেলেই দেখা যায় ঘন সবুজের বুকে অবস্থিত এই লেক (হৃদ)। লেইকের দু’ধারে যতদূর চোখ যায় দেখা যাবে শুধু চা বাগান।
ফিনলে কো¤পানির ভাড়াউড়া চা বাগানের ভেতরে অবস্থান বলে এই নাম। ভৌগলিক অবস্থান অনুসারে, লেকের দক্ষিণ-পূর্বে হোটেল র্গ্যান্ড সুলতানের সীমানা, পশ্চিমে মূল ভাড়াউড়া চা বাগান, উত্তরে রেললাইন ও পূর্বে লাউয়াছড়া।
লেকের একেবারে টিলার মাথায় বামে শিবঠাকুরের মন্দির। টিলার চুড়ান্তে দাঁড়িয়ে প্রায় দুই একরের হৃদ পুরোটা দেখা যায় না। সামান্য কষ্ট করে শেষ মাথা অব্দি গেলে বাড়তি পাওনা হিসেবে মিলবে আরও খানিকটা মিঠে পানির অভিনন্দন। চারদিকে চা পাতার অবোধ্য ইশারা। পানিতে বাতাসের দোলায় ঝিরিঝিরি কারুময় ঢেউ। সব মিলিয়ে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত পর্যটন স্থানগুলোর সাথে ভাড়াউড়া চা বাগানে অবস্থিত এই লেকটি (হৃদ) হয়ে উঠতে পারে আকর্ষনীয় পর্যটক স্থান।
মন্তব্য করুন