শ্রীমঙ্গলে আদিবাসিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট এবং দুর্নীতিবাজ ও অসৎ বন কর্মকর্তার শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে খাসি (খাসিয়া) তথা আদিবাসিদের বিরোদ্ধে দৈনিক যুগান্তরে মিথ্যা রিপোর্ট এবং দুর্নীতিবাজ ও অসৎ বন কর্মকর্তার শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১ টায় বৃহত্তম আদিবাসী ফোরামের আয়োজনে শ্রীমঙ্গল ভানুগাছরোডস্থ পৌরসভার সম্মুখে প্রায় ১১টি আদিবাসী পুঞ্জির পাঁচ শতাধিক আদিবাসীরাসহ এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা অংশ নেয়।
এ সময় মনিপুরি যুব কল্যান সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ভিম্পল সিনহার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বৃহত্তম সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো-চেয়ায়পার্সন জিডিসন প্রধান সুচিয়াং, সংগঠনের মহাসচিব ফিলা পত্মী, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যান সংসদ এর সিলেট বিভাগীয় সম্পাদক শ্যামল দেববর্মা, চা জনগোষ্ঠি আদিবাসী ফোরামের সভাপতি পরিমল সিং বাড়াইক, পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের ত্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মামুন আহমেদ. অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ধীরেন সিনহা, সুনিল কুমার মৃধা, লক্ষণ মুন্ড, সঞ্জয় চৌহান, মিনাস বেসরা মহেস প্রমুখ,।
বক্তারা বলেন, আদিবাসীরা না থাকবে না। আদিবাসী বন কে ভালবাসে। তারা মাতৃ¯েœহে গাছ লালন পালন করে। তারা পান চাষ সহ বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে জিবীকা নির্বাহ করে। তারা কখনো গাছ কাটেনা। তারা বড় বড় গাছে পান চাষ করে থাকে। গাছ জীবিকার প্রদান উৎস। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবৎ জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বাস্তবতা বর্জিত ও গোজামিলপূর্ন রিপোর্ট গুলোতে শুধু ব্যাক্তি নয় পুরো একটা সম্প্রদায় তথা জাতিকে অপমান ও হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। যে কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি রিপোর্ট গুলো পড়লে বুঝতে অসুবিধা হবে না যে প্রতিবেদক শুধু ব্যক্তি আক্রমন নয় একটি জাতি বা সম্প্রদায়কে বা ভাষাকে কটাক্ষ করে যে রিপোর্ট করেছেন তা কোন ভাবেই সাংবাদিকতার নীতিমালার ভিতরে পড়ে না।
উল্লেখ্য ১৭ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় খাসিয়ারা গাছ কেটে পান গাছ লাগায় বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
মন্তব্য করুন