শ্রীমঙ্গলে একের পর এক বিনালাভের বাজার স্থাপন করে প্রশংসায় ভাসছেন বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধু

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : বাজার সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে অস্থির করে চলেছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব অবৈধ মুনাফালোভীদের লাগাম টেনে ধরতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একের পর এক বিনালাভের বাজার স্থাপন করে প্রশংসায় ভাসছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধু।
শ্রীমঙ্গলে বসবাসরত সল্প আয়ের মানুষের কথা ছিন্তা করে তিনি একের পর এক বিনালাভের বাজার স্থাপন করে চলেছেন। এসব দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করলে দিতে হবেনা বাড়তি লাভ। যে দরে পাইকারি ক্রয় করা হয়, সেই দামেই সব ধরণের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে মহসিন মিয়া মধুর স্থাপিত বিনালাভের বাজারে। বাজার থেকে কম দামে নিত্যপণ্য ক্রয় করে ক্রেতারাও খুশি। করছেন মহসিন মিয়া মধুর প্রশংসা।
বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রথমে চালু করা হয়েছে শহরের নতুন বাজারে মুরগীর মাংসের দোকান, পরে নতুন বাজারে চালু করা হয়েছে চাল, ডাল, সবজি, বিস্কুট মসলাসহ বিভিন্ন নিত্যপণের বাজার। পরে শহরের ভানুগাছ রোড ১০ নং এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে গরুর মাংসের দোকান।
সবশেষ পবিত্র রমজান মাস ও ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি শহরের হবিগঞ্জ রোডের গদারবাজার এলাকায় বড় পরিসরে উদ্বোধন করা হয়েছে আরেকটি বিনালাভের বাজার। এখানেও রাখা হয়েছে সব ধরণের নিত্যপণ্য। এসময় বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী, আতিকুর রহমান জরিফসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মহসিন মিয়া মধু বলেন, মানুষের খাওয়ার অধিকার ও বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করতে আমার এ আয়োজন। দুঃখের সময় মানুষের পাশে দাড়ানোই আমার আদর্শ।
আমি বড় নেতা হতে নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করাই আমার লক্ষ। এই উর্দ্বমুখী দুব্যমূলের বাজারে মানুষ নিত্যপণ্য ক্রয় করতে এসে হিমশিম খাচ্ছে। এসব মানুষের কথা ভেবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়েই শহরের বিভিন্ন স্থানে বিনালাভের বাজার স্থাপন করেছি। যতদিন বাজার সিন্ডিকেট ভাঙবেনা এবং নিত্যপণ্য মূল্য মানুষে নাগালের ভিতরে না আসবে, ততদিন এই বিরালাভের বাজার চালু থাকবে। প্রতিদিন হাজারও মানুষ বিনালাভের এই বাজার থেকে নিত্যপল্য ক্রয় করে খুশি হচ্ছেন। সাধারণ মানুষের খুশিতে আমিও খুশি।
মন্তব্য করুন