শ্রীমঙ্গলে কয়েন নিয়ে প্রকট সমস্যা
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটাকা, দুইটাকা ও পাঁচ টাকার কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। বেশি বিপাকে পড়েছেন উপজেলার গ্রামাঞ্চলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও কয়েন নিতে আপত্তি জানাচ্ছে খুচরাসহ বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়ীরা। মানুষ কয়েন নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে। মুদিদোকান, খুচরা পসরার দোকান, মিষ্টির দোকান, যাতায়াতের ভাড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়েন নিয়ে শুরু হয়েছে ভোগান্তি।
উপজেলার হাটবাজারসহ ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কয়েন দেখলেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে লেগে যায় বাকবিতন্ডা। কোনো পক্ষই এসব ধাতব মুদ্রা নিতে রাজি নয়। এমনকি ব্যাংকগুলো গ্রাহককে এসব ধাতব মুদ্রা সরবরাহ করলেও সিংহভাগ ব্যাংকই সেই মুদ্রা বা কয়েন গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অবস্থা দেখে মনে হয়, সচল তবু কয়েনগুলো অচল! সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে এক থেকে পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা বা কয়েন স¤পর্কে কথা হলে এমনই সব তথ্য উঠে আসে।
উল্লেখ্য, ছেঁড়া, ফাঁটা ও ময়লাযুক্ত নোটের বিনিময়মূল্য প্রদান এবং ধাতব মুদ্রা গ্রহণ ও বিতরণ না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে সর্তক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে জারি করা সার্কুলারে এ সতর্কতা জানানো হয়।
শ্রীমঙ্গলের এক কোম্পানী ডিলার জানান, পণ্য বিক্রি করে টাকা নিতে গেলেই খুচরা ব্যবসায়ীরা কয়েন ধরিয়ে দিচ্ছেন। না নিলে বকেয়ার পাহাড় জমে যাবে। তাই বাধ্য হয়েই নিতে হয়। কিন্তু আমরা দিতে গেলেই কেউ নিতে চায় না।
মুদি দোকানী সাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, অসংখ্য পণ্য রয়েছে যেগুলো বিক্রি করতে হলে এক থেকে পাঁচ টাকার কয়েন ছাড়া বেচাকেনা করা সম্ভব নয়। কিন্তু মহাজনের সাথে কয়েন নিয়ে জামেলা পোহাতে হয়। আরেক মুদি দোকানী রুকন আহমেদের সাথে কথা বললে জানায়, আমাদের পণ্য বিক্রয় করতে মহাজনদের কাছ থেকে কয়েন নিতে হয় তা না হলে অনেক পণ্য বিক্রয় করা যায় না। কিন্তু মহাজনেরা কয়েক নিত না চায় না অযথা তাদের সাথে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরকম অনেক ব্যাবসায়ীরা জানান প্রতিদিন বেলা শেষে হাজার থেকে দুই হাজার টাকা কয়েন ক্যাশে জমা হয়। তাতে তারা বিপাকে পরেন।
এক টাকা, দুইটাকা ও পাঁচটাকার কয়েন নিয়ে বিপাকে পরা মানুষেরা স্থানীয় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন
কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন