শ্রীমঙ্গলে দিনভর গরমের প্রখরতার পর অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি
এহসান বিন মুজাহির॥ শ্রীমঙ্গলে দিনভর গরমের প্রখরতার পর অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি। ফলে শীতল অনুভব করছেন উপজেলাবাসী।
বুধবার ১৭ এপ্রিল সকাল দুপুর পর্যন্ত ছিল তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের তীব্রতা যেন আরও বাড়তে থাকে। গরমে উপজেলাবাসীর হাঁসফাঁস অবস্থা।
আবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘসময় জুড়ে লোডশেডিং করা হচ্ছে। ফলে অনেক এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। একদিনে যেমন গরমের কারণে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ঘরে থাকা যাচ্ছে না, তেমনি ফসলের ক্ষেতে ঠিকমতো সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা।
এদিকে খেটে খাওয়া মানুষজন সীমাহীন কষ্ট উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে সড়কে বের হচ্ছেন। দুপুরে সরজমিন ঘুরে শ্রমজীবি মানুষদের সাথে কথা বলেএসব চিত্র ফুটে ওঠে।
ভানুগাছ রোডে কথা হয় ভ্যানচালক সাজিদ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, সকালে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছি। গরমের কারণে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম। মানুষ না থাকলে ভাড়া হচ্ছে না। ওভার ব্রিজের নিচে বসে অলস সময় পার করছি। গরমে শরীরের পোশাক ঘেমে ভিজে যাচ্ছে।
কালিঘাট রোডে রিকশা চালক আলী সৈকত এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, জীবিকার তাগিদে রোদ ও প্রচ গরম সহ্য করে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি।
গরম আর ঘামে শরীরে পোশাক রাখা কঠিন। ঘামে পোশাক ভিজে গন্ধ শুরু হয়ে গেছে। বৈশাখ মাসের প্রথম দিকেই এতো গরম, এখনও বাকি মাস পড়ে আছে।
শহরতলীর মুসলিমবাগ এলাকার গৃহিণী মনোয়ারা বেগম বলেন, প্রচন্ড গরমে ছেলে-মেয়েরা হাঁপিয়ে উঠছে। বাইরে বের হতে পারছে না। পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। এখনই এতোো গরম বাকি সময় তো পড়েই আছে।
তবে বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে আকাশে গুমোট ভাব দেখা যায়। সন্ধা সাড়ে ৬টায় শুরু হয় ঝড়ো বাতাস ও হালকা বৃষ্টি। কয়েক মিনিট পর বৃষ্টি
থেমে যায়। আবার সন্ধা সাড়ে ৭টায় শুরু হয় প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস ও ভারী বর্ষণ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টিতে গরমের প্রভাব কমে বাতাসে শীতল অনুভব হয়। দুর্বিষহ গরমের পর একপশলা বৃষ্টি জনজীবনে
স্বস্তি এনে দেয়।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনিসুর রহমান আনিস জানান, শ্রীমঙ্গলে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর এটিই উপজেলায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
মন্তব্য করুন