শ্রীমঙ্গলে ধানের জমিতে আনারস চাষ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ শ্রীমঙ্গল শহর থোক প্রায় ৩ কি:মি: দুরে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের উত্তরসুর গ্রামে জাহের ভান্ডারি কাজের ফাঁকে শখের বশবর্তী হয়ে শুরু করেন মিশ্র ফলের চাষাবাদ গড়ে তুলেছেন এক ভেরাইটিজ বাগান। ধানের জমিকে ঢালু জমি থেকে উচুঁ জমি তৈরি করে প্রায় ১৬৫ শতক বৃস্তৃর্র্ণ জায়গাজুড়ে পলি মাটি ধারা ভরাট করে গড়ে তুলেছেন এ বিশাল বাগান।
সরেজমিনে উপজেলার শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের উত্তরসুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় জাহের ভান্ডারির বাগানের গাছে গাছে শোভা পেয়েছে আনারস সহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজী । সবুজ পাতার আড়ালে আবার পাতা ঝরা ডালেও ঝুলে আছে লেবু নাগা মরিচ। বর্তমানে তার বাগানে বাগানে লেবু, আনারস,নাগা মরিচ, কলা, পেঁপে, পেয়ারা গাছ সহ শাক সবজির গাছ। এছাড়া নানারকম বনজ ঔষধি, ও ফলের গাছ রয়েছে। চারিদিকে যেন মনোরম বাগান সবুজের বিশাল সংগ্রহশালা।
যে আনারস পাহাড় বা উচুঁ টিলায় চাষ হয় সে আনারস এখন চাষ করছেন জাহের ভান্ডার তার নিজ তৈরিকৃত বাগানে। বাগানের কৃষক ও বাগান রক্ষক শফিকুর রহমান জানায় এ বছর প্রায় ৭ হাজার আনারসের চারা রোপন করেছেন। এক বছরে নতুন অবস্থায় ৭০০-৮০০ আনারস বিক্রি করেছেন। আনারস প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করা যাবে। তিনি মনে করেন এ বছর লেবু গাছগুলো যদি পোকা-মাকড়ের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায় তাহলে ৫-৬ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব হবে। বাগান মালিক জাহের ভান্ডরি জানান প্রথম লেবু চাষ করেন। গাছে লেবু প্রাপ্তির পর থেকে আনারস চাষের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন জাগে। এখন আমার শুধু স্বপ্ন পূরণের পালা। তিনি আরো বলেন আমার মতো স্থানীয় ধনী ও মাঝারি কৃষকরা এভাবে লেবু, আনারস চাষে এগিয়ে আসলে দেশে চাহিদা মিটানোর পরও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
সরজমিনে বাগান পর্যবেক্ষনকালে স্থানীয় বাসিন্দা মিল্লাদ হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায় পাহাড়ি অঞ্চল থেকে যে আনারস বাজারজাত করা হয় জাহের ভান্ডারির এ বাগান থেকে ২-৩ বছর পর পাহাড়ি এলাকায় চাষকৃত আনারস এর মত বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হবে। এ দিকে আনারস ব্যাবসায়ীরা জানান জাহের ভান্ডারির আনারস বাগানের মত যদি শ্রীমঙ্গল শহরের আশে পাশে এরকম আরও বাগান করা হয় তাহলে দেশে আনারস চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। এবং কৃষকরাও আরও উপকৃত হবেন ফলে আনারসের মান আরো ভাল হবে। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা সুকল্প দাস এর সাথে কথা বললে শ্রীমঙ্গল শহরে এই প্রথম এরকম বাগান আছে বলে জানান। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন