শ্রীমঙ্গলে পারিবারিক কলহলের জের ধরে শাশুরিকে হত্যা : বিষ পানে জামাতার আত্মহত্যা : আহত ৪
স্টাফ রিপোর্টার॥ পারিবারিক কলহলের জের ধরে শ্রীমঙ্গল শহরের কালিঘাট সড়কের একটি বাসায় শাশুরিকে হত্যার পর জামাতা নিজে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় আরো ৪ জনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, শনিবার ৩০ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জামাতা কামাল খান টিন কেটে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় শশুর, শাশুরি, স্ত্রী সহ ৫ জনকে ছুড়িকাঘাত করে আহত করে। পরে কামাল নিজেও বিষপান করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এলাকাবাসীর সহায়তায় রক্তাক্ত অবস্থায় ৫ জনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাশুরি মুর্শেদা বেগম (৪০) কে মৃত ঘোষনা করেন। আহত অন্যান্যরা হলেন শশুর মনির মিয়া (৪৫), স্ত্রী মুক্তা বেগম (২০), শ্যালিকা মুন্নি (১২)ও শ্যালক তানিম (৮)।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিষপানকারী কামালকে গ্রেফতার করে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানান, ১ বছর পূর্বে মুক্তা বেগম ও কামালের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিভিন্ন কারনে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। মনির মিয়ার মেয়ে ও কামাল খানের স্ত্রী মুক্তা গত দেড়মাস আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বেড়ানোর কথা বলে বাবার বাড়ি আসে।
বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি না গিয়ে গত ৪/৫ দিন আগে স্বামীর কাছে ডিভোর্স লেটার পাঠায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল শনিবার ভোরে শ্বশুর বাড়ি এসে টিনের বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে করে। তাদের বাড়ী ব্রাম্মনবাড়িয়ায়া জেলার নবীনগর থানার ধীতঘড় এলায়। মনির মিয়া শ্রীমঙ্গল শহরের কালিঘাট সড়কের এই বাসায় ভাড়া থাকতেন কনফেকশনারী ব্যবসা করতেন।এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য কামাল ও মুক্তার মধ্যে প্রায় ১ বছর পৃর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাদের বাড়ী ব্রাম্মনবাড়িয়ায়া জেলার নবীনগর থানার ধীতঘড় এলাকায়।
মন্তব্য করুন