শ্রীমঙ্গলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
বিকুল চক্রবর্তী॥ শ্রীমঙ্গলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে ৭ মাসের ও ২বছরের দুটি সন্তান রেখে আবার বিয়ে করায় স্বামীর বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
৯ অক্টোবর সোমবার বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ভুনবীর ইউনিয়নের শাষন গ্রামের আক্তাপাড়ার আবুল কালামের প্রথম স্ত্রী রুমি বেগম (২৫) সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন রুমি বেগমের পিতা আছকর মিয়া, মা রেণু বেগম, ছেলে মারিয়ান (২বছর) ছোট ছেলে মাহিন (৭ মাস)।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১১ সালে দুই লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেনমোহরে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শ্রীমঙ্গল ভুনবীর ইউনিয়নের শাষন গ্রামের আক্তাপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র আবুল কালামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী বিদেশ চলে যায়। বিদেশ যাওয়ার আগে ও পরে কয়েকবার সে শশুরের কাছ থেকে টাকা এনে দিতে বলে। কিন্তু পিতার বাড়িতে কথা বলে রুমি বেগম তা দিতে ব্যর্থ হন। এর পর থেকেই স্বামীর সাথে শুরু হয় মনমালন্য। একাধিকবার তিনি স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হন। এক পর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় দেড় বছর আগে চলে আসেন বাবার বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের রাজা পুরে এবং এ বিষয়ে মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে একটি মামলা করেন। এরই মধ্যে গত ৪ অক্টোবর স্বামী তার কোন অনুমতি বা আইনি কোন নির্দেশনা ছাড়াই শ্রীমঙ্গল মতিগঞ্জ এলাকায় বিয়ে করেন। এ বিয়ের খবর পেয়ে স্বামীর সাথে তিনি যোগাযোগ করলে স্বামী তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে জানান।
এ ব্যপারে স্বামী আবুল কালামের মোবাইল ফোনে উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে তার সাথে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি ফোন কেটে দেন। এর পর আরও কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে তার বড়ভাই সালাম মিয়া সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আরও একটি বিয়ের কথা স্বীকার করেন এবং তার সাথে তার সম্পর্ক নেই বলে জানান।
এ ব্যপারে শ্রীমঙ্গল থানা ওসি কে এম নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এক স্ত্রী রেখে আবার বিয়ে করার আইন নেই বলে জানান। এসময় তিনি বলেন এ বিষয়ে বা পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন।
রুমি বেগম জানান সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ভুনবীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: চেরাগ আলী জানান, এক স্ত্রী বর্তমান রেখে তার অনুমতি ব্যতিরেখে আবার বিয়ে করা একটি অপরাধ মুলক কাজ। এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ পেলে রুমি বেগমকে সহায়তা করবেন বলে জানান।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে রুমি বেগমের মা রেণু বেগম বলেন, তারা নিজেরাই দারিদ্রের কষাঘাতে জড়জড়িত এর মধ্যে ছোট ছোট দুটি বাচ্চাকে প্রতি পালন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
মন্তব্য করুন